ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুরে প্রচারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক-এক করে জেলার এগরা, পটাশপুর ও মেচেদায় জনসভা রয়েছে তৃণমূলনেত্রীর। পটাশপুরের সভায় তিনি বলেন, ‘বিজেপি সরকার কোনও উন্নয়ন করেনি। আমি চাই না আমার বাংলার কোনও মানুষের নাম বাদ যাক। আমি এরাজ্যে এনপিআর হতে দেব না।’
তিনি বলেন, ‘মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসাথী কার্ড আমরা চালু করছি। আমরা থাকলে আবার দুয়ারে সরকার আসবে। কৃষকদের দশহাজার টাকা করে দেওয়া হবে। দ্বাদশের ছাত্র-ছাত্রীদের স্মার্ট ফোনের জন্য দশহাজার টাকা দেওয়া হচ্ছে।’
তৃণমূল ক্ষমতায় এলে সব মহিলাকে এবার মাসে ৫০০ টাকা করে হাতখরচা। এবার থেকে স্টুডেন্ট কার্ড, ৪ শতাংশ হারে সুদে ১০ লক্ষ টাকা।’বিনা পয়সায় রেশন পেতে আর যেতে হবে না, এবার পাবেন দুয়ারেই। আগামীতে কৃষকরা বছরে ১০০০০ টাকা করে পাবেন। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে ৫ লক্ষ টাকার চিকিৎসার সুবিধা পাবেন।’
আরও পড়ুনঃ রাজ্যে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের দাবিতে আজ কমিশনে সৌগত, মহুয়া, যশবন্ত সিনহা-সহ পাঁচ প্রতিনিধি
কর্মীদের উদ্দেশে নেত্রী বললেন, “ভোটবাক্স পাহাড়া দিয়ে রাখতে হবে। ইভিএমের দিকে খেয়াল রাখবেন। ভোট লুঠ করতে এলে থাপ্পড় মারুন। গদ্দাররাই এখন বিজেপির প্রার্থী। সব বেইমান। পুরনো লোকেরা কেউ নেই বিজেপি-র। তাঁরা ঘরে বসে কাঁদছেন। সিপিএমের হার্মাদ ও তৃণমূল থেকে গদ্দাররা গিয়ে বিজেপি-তে গিয়ে ছড়ি ঘোরাচ্ছে। বিজেপি-তে মহিলারা নিরাপদ নন।
‘মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসাথী কার্ড আমরা চালু করছি। আমরা থাকলে আবার দুয়ারে সরকার আসবে। কৃষকদের দশহাজার টাকা করে দেওয়া হবে। দ্বাদশের ছাত্র-ছাত্রীদের স্মার্ট ফোনের জন্য দশহাজার টাকা দেওয়া হচ্ছে।’
এগরার সভায় তিনি বলেন, ‘পায়ে চোট করে দিয়েছে, খুব যন্ত্রণা হয়। আমার যন্ত্রণা মা-বোনেদের হাতে ছেড়ে দিয়েছি। নির্বাচন এলেই বিজেপি বলে হরি হরি, পিছনে ডাকাতি করি। মাথায় তিলক লাগিয়ে বলছে একে-ওকে মারব। বাংলা বাংলায় থাকবে, এটা বিজেপির ঘর নয়।’ ‘বিজেপি কৃষক বিরোধী, মা-বোনদের ওপর অত্যাচারী সরকার। বামপন্থীদের দিয়ে ভোট নষ্ট করবেন না। কংগ্রেসকে দিয়ে ভোট নষ্ট করবেন না।’বলেন মমতা।
মেচেদার সভায় তিনি বলেন, ‘শিক্ষকদের সংখ্যা দ্বিগুণ করা হবে। আগে যেসব গদ্দার ছিল তারা চাকরি নিয়ে অনেক বেইমানি করেছে। আমি জানি। এবার কাজকর্ম ডাইরেক্ট হবে। কারও মাধ্যমে হবে না। এখন সেই গদ্দাররা BJP-র প্রার্থী। বিজেপির পুরনো লোকেরা নেই। তারা দুঃখে আজ ঘরে বসে কাঁদছে। আর সিপিএমের যারা হার্মাদ আর তৃণমূল কংগ্রেসের কিছু চিটিংবাজ ওখানে গিয়ে ছড়ি ঘোরাচ্ছে। ডাক্তার, নার্স, প্যারামেডিক্যাল কর্মী বাড়ানো হবে। কোনও বুথকর্মীকে যাতে কিনতে না পারে সেদিকে নজর রাখতে হবে। ভিভি প্যাট মেশিন ভালো করে দেখে নেবেন।’
, ‘এই বিজেপি স্বৈরাচারী দল। সব মানুষের জন্য কোভিডের টিকা দেয়নি। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে চাইলেও দেয়নি। আমরা বিনাপয়সায় মানুষকে টিকা দিতে চেয়েছিলাম।’তিনি বলেন, ‘কৃষকদের জমি কেড়ে নিচ্ছে বিজেপি। অসমে ১৪ লক্ষ বাঙালির নাম বাদ দিয়েছে। দিল্লিতে হিংসায় বহু লোক মারা গেছে।’
তৃণমূলনেত্রী বলেন, মনে রাখবেন বিজেপি দাঙ্গা করে, ওরা চুরি করে। এরা রেল, বিএসএনএল, এলআইসি বিক্রি করে দিচ্ছে। আপনার ব্যাঙ্কে রাখা টাকা যদি ফেরত না পান তাহলে কী হবে! মোদীর সরকার একটা অপদার্থ, দাঙ্গাবাজের সরকার। ওদের একটা ভোটও নয়