ডেস্ক: নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর জয়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী করা মামলায় এ বার বিচারপতিকে নিয়ে প্রশ্ন উঠল। বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে এই মামলার শুনানি শুরু হয়েছে। আর তাতেই বিপত্তি! তৃণমূলের অভিযোগ, বিচারপতি চন্দ বিজেপির সক্রিয় সদস্য। আর সেখানে এই মামলার নিরপেক্ষ শুনানি হওয়া নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন তুলেছেন একাধিক তৃণমূল নেতৃত্ব।বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাস থেকে মামলা সরানোর আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দালকে একটি চিঠি দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী।
বিচারপতি কৌশিক চন্দের ইতিহাস টেনে মমতা দাবি করেছেন, আইনজীবী থাকাকালীন কৌশিক চন্দ সক্রিয় বিজেপি কর্মী ছিলেন। তিনি এই মামলার বিচার করলে রায় পক্ষপাতদুষ্ট হতে পারে, এমন দাবি তোলা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর তরফে।
মামলার নিরপেক্ষতা হারাবে বলে মনে করা হচ্ছে। আর এই দাবিতে এবার প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী। মামলাটি অন্য বিচারপতির এজলাসে পাঠানো হোক এই দাবি জানানো হয়েছে প্রধান বিচারপতির কাছে। যে চিঠি পাঠানো হয়েছে প্রধান বিচারপতির কাছে সেখানে প্রথমেই বলা হয়েছে যে, এক সময়ে বিচারপতি চন্দ বিজেপির সক্রিয় সদস্য ছিলেন। সেখানে এই মামলার নিরপেক্ষ শুনানি কখনই হতে পারে না বলে দাবি করা হয়েছে চিঠিতে।
আরও পড়ুন: মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে বিধানসভার অধ্যক্ষকে চিঠি দিল শুভেন্দু
গোটা বিষয়টি নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বিশিষ্ট আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তাঁর স্পষ্ট কথা, “এই ধরনের কথা যারা বলছেন তাঁরা কিন্তু বিচার ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন। ছাত্র জীবনে অনেকেই রাজনীতি করেন। কিন্তু বিচারপতি হওয়ার পর শপথ নিয়ে তিনি কী ভূমিকা পালন করছেন সেটাই বিচার্য। তিনি আগে কী করেছেন সেটা বিচার্য হতে পারে না। কৌশিক চন্দ বিচারপতি হওয়ার পর কোনও রাজনৈতিক কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন বলে আমার জানা নেই।