ডেস্ক:’কোচবিহারে দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে। নিহতদের জন্য শোকপ্রকাশ করছি। পরিবারের প্রতি সমবেদনা। বিজেপির দিকে জনসমর্থন দেখে দিদি ও তাঁর গুন্ডারা মরিয়া হয়ে উঠেছে। কুর্সি চলে যাচ্ছে তাই এই স্তরে নেমেছেন দিদি।’ মমতাকে এই ভাবেই কটাক্ষ করলেন মোদী।
তিনি বলেন নিরীহ মানুষদের প্রাণ যাওয়া অত্যন্ত দুঃখজনক। দিদি আর তৃণমূলের মনের মতো বাংলা চলবে না। আমি নির্বাচন কমিশনের কাছে কোচবিহারের ঘটনার তদন্ত দাবি করছি। দিদি এই হিংসা, সকলকে উস্কানি, নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় বাধা দেওয়ার এই কাজ আপনাকে বাঁচাতে পারবে না।” কার্যত কোচবিহারে হিংসার ঘটনায় মমতাকেই কাঠগড়ায় তুুললেন মোদী।
নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘এর মধ্যে কোচবিহারে যা হয়েছে, তা অত্যন্ত দুঃখের। যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের মৃতুতে দুঃখপ্রকাশ করছি। বিজেপির সমর্থন দেখে দিদি ও তাঁর গুন্ডাদের ভয় পেয়ে গিয়েছে। কুর্সি বিদায় আসন্ন বুঝে দিদি এতটা নীচে নেমেছে। কিন্তু দিদি, টিএমসি, গুন্ডাদের সাফ বলে দিতে চাই, দিদি আর টিএমসির মনমানি বাংলায় চলতে দেওয়া যাবে না।
এদিন মোদী আত্মবিশ্বাসের সুরে বলেন, “দিদি লিখে রাখুন বাংলার মানুষ এখানেই থাকবেন। যেতে হলে আপনাকে সরকার থেকে যেতে হবে। দিদি-ও-দিদি, আপনি বাংলার ভাগ্যবিধাতা নয়।”
“হার দেখে দিদি আমার ওপর রেগে যাচ্ছেন। পঞ্চায়েতের মতো ছাপ্পা ভোট করতে না পেরে দিদি নারাজ। ১০ বছর কী করেছেন তা তো বলতে পারেন না। যেখানে যান, স্রেফ মোদীকে কটুক্তি করেন। ভাইপোর কাজের হিসেব দিতে হবে তো না কি? কিন্তু হিসেব দেয় কি? স্রেফ কটুক্তি করে।”
লকডাউনের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, ‘দিদি কোনও সুবিধা দেননি। কেন্দ্র লকডাউনে যে চাল পাঠিয়েছিল, সেটাও তৃণমূল লুটে নিয়েছে। আমি যে চাল পাঠিয়েছিলাম, তাতেও কাট কোম্পানি এসে গিয়েছিল’।
তৃণমূল সরকারের ‘তোলাবাজি’কে কটাক্ষ করতে গিয়ে মোদী জানান, দিদি বলছেন ২০০-৫০০ ই তো কাটমানি নিচ্ছে। দিদি বলে আপনারা টাকার জন্য আসেন। আপনারা কি টাকার লোভে এসেছেন? এসব বলে আপনাদের আত্মসম্মানে আঘাত করেছেন কি না? মমতা দিদি সবাই আপানার তোলাবাজদের মতো হয় না। এরা কষ্ট করে নিজেদের রোজগারে খাবার খান, তবু আত্মসম্মান ভোলেন না।
“আমরা শৌচালয় বানিয়ে দিয়েছি। উজ্জলা গ্যাস কানেকশন দিয়েছি। কিন্তু দিদির তোলাবাজরা সেখানেও লুঠ করা শুরু করে দিয়েছে। বিজেপি এলে কাটমানি ছাড়াও সব সুবিধা পাবেন।”