ডেস্ক : অধীর রঞ্জন চৌধুরীর আবেদনে সাড়া দিলেন নরেন্দ্র মোদী। করোনা মোকাবিলায় পিএম কেয়ার্স ফান্ড থেকে তৈরি হবে ২টি হাসপাতাল। রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো আরও মজবুত করতে এই উদ্যোগ বলেও জানানো হয়েছে। বহরমপুর ও কল্যাণীতে হাসপাতাল ২ টি তৈরি করবে DRDO। সেখানে ২৫০ শয্যার হাসপাতাল তৈরির জন্য ইতিমধ্যে অর্থ বরাদ্দ হয়েছে পিএম কেয়ার্সের তরফে। রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো মজবুত করতে এই উদ্যোগ বলেও জানানো হয়েছে।
রাজ্যে DRDO পরিচালিত করোনা হাসপাতাল তৈরির জন্য প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন লোকসভায় কংগ্রেস দলনেতা অধীর চৌধুরী। সেই আবেদন মঞ্জুর হতে বহরমপুরে হাসপাতাল তৈরির জায়গা দেখতে আসেন DRDO-র আধিকারিকরা।
একই রকম একটি হাসপাতাল তৈরি হবে কল্যাণীতেও। সেখানেও DRDO পরিচালিত করোনা হাসপাতালে থাকবে ২৫০টি শয্যা।মঙ্গলবার বহরমপুর করোনা হাসপাতালে পিএম কেয়ার ফান্ডের টাকায় তৈরি অক্সিজেন প্ল্যান্টের উদ্বোধন হয়েছে। এবার PM কেয়ার্সের ফান্ডের বরাদ্দে হাসপাতাল পাওয়ার অপেক্ষায় বহরমপুর ও কল্যাণী।
আরও পড়ুন: ভোটের প্রচারে আপত্তিকর মন্তব্য, মিঠুনকে ভার্চুয়াল জিজ্ঞাসাবাদ পুলিশের
প্রধানমন্ত্রীর দফতর সূত্রে খবর, পিএম কেয়ার্সের ফান্ড থেকে ৪১.৬২ কোটি টাকা এই দুই হাসপাতাল তৈরির জন্য বরাদ্দ করেছেন নরেন্দ্র মোদী। দু’টি হাসপাতালই ডিআরডিও-র তত্ত্বাবধানে তৈরি করা হবে। উভয় হাসপাতাল গড়ে তুলতেই রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সহায়তা থাকবে বলে জানানো হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের এই দুই জেলা বাদেও পিএম কেয়ার্স ফান্ড থেকে বিহার, দিল্লি, জম্মু ও শ্রীনগরে কোভিড হাসপাতাল তৈরি করা হবে।
তবে প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তের নেপথ্যে বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরীর বড় ভূমিকা রয়েছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। কেননা, মাসখানেক আগেই প্রধানমন্ত্রী চিঠি লিখে মুর্শিদাবাদের করোনা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার আবেদন জানান অধীর। চিঠিতে তিনি লিখেছিলেন, ৫০০ শয্যার একটি অস্থায়ী ডিআরডিও কোভিড হাসাপাতাল তৈরি করা হোক। এর পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে একটি মেডিক্যাল অক্সিজেন কনসেনট্রেটর প্লান্ট বসানোর দাবিও তিনি জানিয়েছিলেন।