ডেস্ক: তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের শহিদ দিবসের পাল্টা বিজেপির শহিদ শ্রদ্ধাঞ্জলী দিবস। ভোট সংক্রান্ত হিংসায় দলের যে সমস্ত কর্মীর মৃত্যু হয়েছে তাঁদের স্মরণে রাজ্যজুড়ে সভা করবে তারা। তবে এ বছর সমস্ত সভা হবে ভার্চুয়ালি।একই দিনে দিল্লি ও কলকাতায় এই কর্মসূচি পালন করবে পদ্মশিবির।
একুশের বিধানসভা ভোট ঘিরে রাজ্যে মানবাধিকার লঙ্ঘণের যে অভিযোগ তারা তুলেছে, তা নিয়েই এদিন সরব হতে পারে তারা। তারই সূত্র ধরে ২১ জুলাই মানবাধিকার দিবস পালনের কথা ভেবেছে বিজেপি। রাজ্যজুড়ে এই দিনটি পালিত হবে। এবার কোনও রকম জমায়েত তারা করছে না, সভা হবে ভার্চুয়ালি।
জানা গিয়েছে, বুধবার সকাল সাড়ে ১১টা থেকে নয়াদিল্লির রাজঘাটে ধরনায় বসবেন বিজেপি সাংসদরা। নেতৃত্ব দেবেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এ রাজ্যেও একই কর্মসূচি পালন করবে গেরুয়া শিবির। কলকাতায় রাজ্য বিজেপি নেতারা শহিদ শ্রদ্ধাঞ্জলী দিবস পালন করবেন। সম্ভবত হেস্টিংসে হবে এই কর্মসূচি। নেতৃত্বে থাকবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ২১ জুলাই মৃত ১৩ জনের স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করে যেমন বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল। অনেকটা একই ধাঁচে হবে বিজেপির কর্মসূচি।
আরও পড়ুন: মহেশতলাতে রাসায়ানিক কারখানাতে বিধ্বংসী আগুন
একুশের বিধানসভা ভোটে সর্বাত্মক জয়ের পর এ বছর তৃণমূলের ২১ জুলাই উদযাপন সর্বভারতীয় স্তরে হবে। গুজরাট, উত্তর প্রদেশের মতো বিজেপি গড়েও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণ শোনানো হবে জায়ান্ট স্ক্রিনে। ২০২৪-এর লোকসভা ভোটকে সামনে রেখে ২১ জুলাই থেকেই শুরু হবে ‘ব্র্যান্ড মমতা’র ‘ব্র্যান্ডিং’। ইতিমধ্যেই জাতীয় রাজনীতিতে এ নিয়ে আলোচনাও শুরু হয়েছে।
বাংলার বিধানসভা ভোটে দলের বিপুল জয়ের পর মমতা ক্রমেই অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছেন। লোকসভা ভোটের আগে যে ভাবে সর্বভারতীয় স্তরে তিনি প্রভাব বিস্তার করছেন তা রুখতে না পারলে বিজেপির জন্যই চাপ বাড়বে। সে কারণেই, তৃণমূলের বড় কোনও কর্মসূচি থাকলে তার সমান্তরাল একটি কর্মসূচি রাখার চেষ্টা করছে গেরুয়া শিবিরও।