কলকাতা: শহর কলকাতায় করোনা প্রতিরোধে বেশ কিছু নতুন উদ্যোগ নিল কলকাতা পুরসভা। ‘ভ্যাকসিন অন হুইলস’, ‘ভ্যাকসিন ইন ড্রাইভিং’ এর পর এবার শুরু হচ্ছে ‘দুয়ারে ভ্যাকসিন’। সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে কলকাতা পুরসভার নয়া উদ্যোগ। এবার তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, ফোনে যোগাযোগ করলে বাড়ি–বাড়ি গিয়ে করোনাভাইরাসের টিকা দিতে পারেন পুরকর্মীরা। এই উদ্যোগ একেবারেই অভিনব বলে মনে করছেন শহরের বাসিন্দারা। আর তাই ‘ভ্যাকসিন অন কল’ প্রস্তুতি শুরু করে দিল কলকাতা পুরসভা। অর্থাৎ বলা যেতে পারে ‘দুয়ারে ভ্যাকসিন’ কর্মসূচি।
৬০ উর্দ্ধ প্রবীন থেকে সুপার স্প্রেডার, মহানগরের নানা পর্যায়ের নাগরিকদের টিকাকরণের কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে পুরসভা। ইতিমধ্যে প্রায় ২১ লক্ষ মানুষকে টিকা সম্পূর্ণ করেছে। কিন্তু তাও পুরসভার তথ্য বলছে, এখনও বেশ কিছু ৬০ উর্দ্ধ প্রবীণ মানুষ এবং বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিরা পুরসভার ভ্যাকসিন সেন্টারে এসে টিকা নেননি। বস্তুত সেই সমস্ত প্রবীণ এবং বিশেষভাবে সক্ষমদের কথা মাথায় রেখে পুরসভা বাড়ি গিয়ে টিকাকরণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। পুরসভার হেলথ সেন্টার ছাড়াও বিশেষ অ্যাম্বুল্যান্সে মোবাইল ইউনিটের মাধ্যমে গত বছর থেকেই আবাসন, বাজার ও ক্লাবে গিয়ে করোনা পরীক্ষা চালু করেছে পুরসভা।
প্রবীণ এবং বিশেষভাবে সক্ষমদের কথা মাথায় রেখে পুরসভা বাড়ি গিয়ে টিকাকরণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। পুরসভার হেলথ সেন্টার ছাড়াও বিশেষ অ্যাম্বুল্যান্সে মোবাইল ইউনিটের মাধ্যমে গত বছর থেকেই আবাসন, বাজার ও ক্লাবে গিয়ে করোনা পরীক্ষা চালু করেছে পুরসভা। এই বিষয়ে ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘টাকা দিয়েও পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন কিনতে পাচ্ছি না। যেহেতু কম পাচ্ছি তাই সেন্টারে আসা সুপার স্প্রেডারদের আগে দেব, পরে বাড়ি বাড়ি গিয়ে দেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: মদন মিত্রের ভবানীপুরের বাড়িতে আগুন, ঘটনাস্থলে দমকলের ৩টি ইঞ্জিন
পুরসভার মুখ্যপ্রশাসক ও পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম সোমবার জানিয়েছেন, “কেন্দ্রীয় সরকার চাহিদা মেনে রাজ্যকে ভ্যাকসিন দিচ্ছে না। তাই তো দৈনিক ৫০ হাজারের পরিকাঠামো তৈরি করেও মানুষকে টিকা দিতে পারছি না। যদি পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন পেয়ে যাই তবে ভবিষ্যতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে টিকা দেবেন পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা।”
তবে প্রধানমন্ত্রী যে এদিন সবাইকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেবেন বলে ঘোষণা করেছেন তা নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেন মুখ্যপ্রশাসক। বলেন,“ ভাষণে তো উনি অনেক কিছু বলেন, সেগুলি কার্যকর হয় না। কবে পাঠাবেন, কীভাবে দেবেন কিছু বলেননি। কেন্দ্র পাঠাচ্ছে না বলে তো বিভিন্ন গোষ্ঠী ও স্তর ভাগ করতে হচ্ছে।”