ডেস্ক: চিরসবুজ ব্যক্তিত্ব সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ বাংলার রাজনৈতিক মহল। ডান-বাম নির্বিশেষে, সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতাদের তাঁর অত্যন্ত ভালো সম্পর্ক ছিল। সিদ্ধার্থশঙ্কর রায় থেকে শুরু করে জ্যোতিবসু, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য শেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বাংলার চারজন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি।
শুক্রবার প্রিয় ‘সুব্রত দা’র মৃত্যু সংবাদ পেয়ে একে একে তাঁরা এসএসকেএম হাসপাতালে এসে হাজির হন। রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “সুব্রতা দার মৃত্যুতে আমরা মর্মাহত। প্রতিটা সহকর্মীর জন্য বড় ক্ষতি। এই ক্ষতি জীবনে পূরন হবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ও ভেঙে পড়েছেন।” মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, “এটা বড় ক্ষতি। বাংলা তথা ভারতীয় রাজনীতির বড় ক্ষতি। দীর্ঘদিন ধরে কাজ করেছি। ছাত্র পরিষদ করার সময় ওঁর নেতৃত্বে কাজ করেছি।” চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, “অপূরণীয় ক্ষতি। ওনার মতো মানুষ পাওয়া কঠিন। বাম শিবির থেকে শোকজ্ঞাপন করেছেন সুজন চক্রবর্তী এবং বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য।
শান্ত মানুষটির’ চলে যাওয়া। শোক প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরি। তিনি বলেন,”আমি ভাবতেই পারছি না। ১ তারিখ গিয়েও হাসপাতালে দেখা করে এলাম। বেশ খোস মেজাজেই ছিলেন। অনেক গল্প করলেন আমার সঙ্গে। কিন্তু এমনটা হয়ে যাবে ভাবতে পারিনি। কী খারাপ লাগছে। প্রিয়দা, সৌমেনদা, সুব্রতদা একে একে প্রত্যেকে চলে গেলেন। একটা প্রজন্ম শেষ হয়ে গেল বাঙলায়। বাঙলার রাজনীতিতে অপূরণীয় ক্ষতি।
আরও পড়ুন: না ফেরার দেশে পঞ্চায়েত মন্ত্রী, এত বড় দুর্যোগ আসেনি জীবনে’, ভেঙে পড়লেন মমতা
“সুব্রতবাবু ব্যক্তিগতভাবে অনেকের অভিভাবক ছিলেন।” বর্ষীয়ান মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে বললেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ । শুক্রবার ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে তিনি বলেন, “সুব্রতবাবু এক প্রকার বাংলার রাজনীতির আইকন ছিলেন। তাঁর মৃত্যু হয়তো ৭৫ বছর বয়সে হয়েছে। তবু মনে হচ্ছে খুব তাড়াতাড়ি চলে গেলেন। ৫০-৬০ বছর ধরে রাজনীতি জীবনে অ্যাক্টিভ থেকেছেন। সামাজিক জীবনে সবার সঙ্গে তাঁর স্বাভাবিক সম্পর্ক ছিল। দল বা বয়স কোনও কিছু ওঁ ভাবতেন না। ব্যক্তিগত ভাবে অনেকের অভিভাবক ছিলেন।”
রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানান, “রাজনৈতিক মহীরুহের পতন!
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের পঞ্চায়েত মন্ত্রী মাননীয় শ্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের আকস্মিক প্রয়াণে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। ওনার আত্মার শান্তি কামনা করি।” সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের আকস্মিক প্রয়াণে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। আমি তাঁর বিদেহী আত্মার সদগতি কামনা করি।” শোকপ্রকাশ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও।