দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে মঙ্গলবার ফের সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় । তাঁর বক্তব্য, সংবিধান কী হবে, সেই বিষয়টি নির্ধারণের ‘চূড়ান্ত প্রভু’ হলেন নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা, তাঁদের উপরে কোনও কর্তৃত্ব থাকতে পারে না। তিনি বলেন, “সংসদই সর্বোচ্চ… সংসদ সদস্যরা সংবিধানের চূড়ান্ত নিয়ন্ত্রক।”
এর পাশাপাশি, সাংবিধানিক বিষয়ে আগের মন্তব্যের সমালোচনার পাল্টা জবাব দিয়ে ধনখড় জানান, “একজন সাংবিধানিক কর্মকর্তার প্রতিটি বক্তব্য জাতীয় স্বার্থ দ্বারা পরিচালিত।”
উপরাষ্ট্রপতি সুপ্রিম কোর্টের দুটি গুরুত্বপূর্ণ রায় — ১৯৬৭ সালের গোলকনাথ মামলা ও ১৯৭৩ সালের কেশবানন্দ ভারতী মামলার পরস্পরবিরোধী অবস্থানের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, “একটি রায়ে বলা হয়েছে প্রস্তাবনা সংবিধানের অংশ নয়, আরেকটিতে বলা হয়েছে এটি সংবিধানের অংশ। এ নিয়ে বিভ্রান্তি থাকা উচিত নয়।”
১৯৭৫ সালের জরুরি অবস্থার সময় সুপ্রিম কোর্টের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন ধনখড়। তিনি বলেন, “তখন দেশের সর্বোচ্চ আদালত নয়টি হাইকোর্টের রায় উপেক্ষা করেছিল এবং মৌলিক অধিকার স্থগিতের পথ খুলে দিয়েছিল… যা গণতন্ত্রের ইতিহাসে সবচেয়ে অন্ধকার সময়।”
সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যপালদের বিল অনুমোদনে সময়সীমা বেঁধে দেওয়ায় ধনখড় একে গণতান্ত্রিক ভারসাম্যের ওপর হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখছেন। তিনি দাবি করেন, সংবিধানের ১৪২ অনুচ্ছেদ এখন “বিচার ব্যবস্থার হাতে ২৪x৭ এক পারমাণবিক অস্ত্র” হয়ে উঠেছে।
ধনখড়ের মন্তব্য নতুন করে বিচার বিভাগের ভূমিকা বনাম সংসদের সর্বোচ্চ অবস্থান নিয়ে বিতর্ক উসকে দিল বলেই রাজনৈতিক মহলের অভিমত।