দিল্লির মুন্ডকা মেট্রো স্টেশনের কাছে চারতলা অফিস বাড়ির ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। ঝলসে মৃত্যু হয়েছে দুই দমকলকর্মী-সহ ২৭ জনের। বহু মানুুষ এখনও নিখোঁজ। ১২ জন জখম হয়েছেন বলে খবর। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৫০ জনকে ওই বিল্ডিং থেকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। চারতলা বিল্ডিংটিতে যে কোম্পানি ছিল, তার দুই মালিক হরিশ গোয়েল এবং বরুণ গোয়েলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে বিল্ডিংটির মালিক মণীশ লাকরা এখনও পলাতক। ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী থেকে সকলেই। এর পর রাতে একটি ট্যুইট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই ট্যুইটে তিনি ঘোষণা করেন ক্ষতিপুরণের কথা।
পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার বিকেল পৌনে ৫টা নাগাদ ওই অফিসে আগুন লাগার খবর মেলে। দ্রুত আগুনের গ্রাসে চলে যায় গোটা বাড়ি। প্রাণ বাঁচাতে অনেকেই জানলা দিয়ে ঝাঁপ দেন। দমকলের ৩০টি ইঞ্জিন প্রায় ৬ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রায় ৮ ঘণ্টা ধরে চলে উদ্ধারকাজ। জানলা ভেঙে অনেককে উদ্ধার করা হয়। জানা গিয়েছে, ওই বিল্ডিংতে কাজের জন্য অন্তত ১২০জন উপস্থিত ছিলেন। এর দোতলায় ছিল একটি সিসিটিভি ক্যামেরা এবং রাউটার সারাইয়ের কোম্পানি। তৃতীয় তলে মোটিভেশনাল স্পিচের একটি অনুষ্ঠান আয়োজিত হচ্ছিল। সেখানে অনেকেই অংশ নিয়েছিলেন। ফলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনা বেশি ঘটেছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শোকবার্তায় লেখেন, দিল্লির আগুনে এত মানুষ মারা যাওয়ায় তিনি শোকস্তব্ধ। তিনি আশা করছেন, আহতরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন। মৃতের পরিবারকে ৫ লাখ ও আহতদের ৫০ হাজার টাকা দেয়ার কথাও ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।