ওয়েবডেস্ক : বসন্ত জাগ্রত দ্বারে। অথচ সেই দুয়ারেই তালা ঝুলিয়েছে কোভিড। নিয়মের বেড়াজালে পড়ে অন্যান্য বছরের মতো জাঁকজমক করে সরস্বতী পুজো না হলেও বাণীবন্দনায় আন্তরিকতা বজায় রইলো ষোলোআনা।
সরস্বতী পুজোকে ঘিরে প্রতিবার উৎসবে মেতে ওঠেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। বয়ে যায় চোরাগোপ্তা রেষারেষির স্রোত-ও। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের এই ঐতিহ্য বেশ কয়েক দশকের।
এই উৎসবের হাত ধরে মন দেওয়া নেওয়ার পালাও চলে পড়ুয়াদের মধ্যে। কিন্তু এ বার সেখানে উল্টো ছবি।
স্কুলে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পঠনপাঠন শুরু হলেও কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের তালা এখনও খোলেনি। ফলে এ বার বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলগুলিও ফাঁকা। সরস্বতী পুজো হয়েছে বটে। তবে তা নিতান্তই অনাড়ম্বরে।
এর মাঝেও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, পাড়ায় পাড়ায় পূজিতা হলেন বাগদেবী।
আরও পড়ুন : ৫ টাকায় ডিম, ভাত, ডাল, তরকারি, ‘মা’ প্রকল্পের সূচনায় মমতাময়ী মুখ্যমন্ত্রী
বাদ গেলেন না সেলেব রাও। দেবীবন্দনায় মাতলেন তাঁরাও। মঙ্গলবার অভিনেতা সোহম চক্রবর্তীর প্রযোজনা সংস্থা সোহম এন্টারটেইনমেন্টের অফিসে সরস্বতী পুজোর আয়োজন করা হয়।
বাগদেবীর কাছে সোহমের প্রার্থনা, ”দেবী সরস্বতী যেন সকলকে শুভ বুদ্ধি দেন, যাতে সকলে মিলে সুন্দর সমাজ গড়ে তোলার লক্ষ্য কাজ করতে পারেন।”
শিগগিরই যেন ছোটরা আবার আগের জীবন ফিরে পায়। সরস্বতী পুজোর দিন এমনই প্রার্থনা জানালেন অভিনেত্রী সোহিনী সরকার।
SVF-র সরস্বতী পুজোর অনুষ্ঠানে দেখা মিলল এক ঝাঁক তারকার। অভিনেত্রী অনন্যা চট্টোপাধ্যায়, গৌরব-দেবলীনা, তনুশ্রী চক্রবর্তী, সঞ্জনা বন্দ্যোপাধ্যায়, জন ভট্টাচার্য, পরিচালক ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রিয়াঙ্কা সরকার প্রমুখের নজরকাড়া উপস্থিতি ছিল।
স্ত্রী নন্দিনীকে নিয়ে হাজির ছিলেন আবীর চট্টোপাধ্যায়। অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ, গৌরব চট্টোপাধ্যায় ও ঋদ্ধিমা ঘোষ, মনামী ঘোষ, পায়েল সরকার ঈশা সাহা রাও ছিলেন স্বমহিমায়।