ওয়েবডেস্ক : দ্বিতীয় টেস্টে ইংল্যান্ডকে ৩১৭ রানে হারিয়ে জয়ের শিরোপা ভারতের। এই চিপকেই প্রথম টেস্টে পর্দদুস্ত হয়েছিল ভারত। মঙ্গলবার সেই চিপকের ঘূর্ণি পিচে দেড় সেশনেই সিরিজ ১-১ করলেন তাঁরা।
৫ উইকেট নিলেন অক্ষর প্যাটেল। ৪ ম্যাচে টানা হারের পর জয় পেলেন অধিনায়ক কোহালি। প্রথম ইনিংসে রোহিত শর্মা এবং দ্বিতীয় ইনিংসে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের শতরান বড় ভূমিকা রয়েছে ভারতের জয়ে। চতুর্থ দিনের ম্যাচের সেরা রবিচন্দ্রন অশ্বিন।
বোলার অশ্বিন যে দেশের মাঠে ঘূর্ণি পিচে স্বমহিমা ধরবেন, তা যেন প্রত্যাশিতই। তবে ব্যাট হাতেও এ বার ভেল্কি দেখিয়েছেন। চিপকের পিচে দু’ইনিংসে মিলিয়ে বোলার অশ্বিনের মোট সংগ্রহ ৯৬ রানে ৮ উইকেট।
ঘূর্ণি পিচে প্রথম ইনিংসে রুট-সহ তাঁর দলের ৫ জনকে প্যাভিলিয়নে পাঠান। মূলত তাঁর স্পিনের ফাঁদে পড়েই ১৩৪ রানে শেষ হয়ে যায় ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংস। পরের ইনিংসেও অশ্বিনের শিকার বেন স্টোকস-সহ ৩ জন।
টেস্টে অশ্বিনের ব্যাট থেকে এর আগেও বহু দামি ইনিংস এসেছে। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সদ্যসমাপ্ত সিরিজেই রক্ষণাত্মক ব্যাটিংয়ের নমুনা দেখিয়েছিলেন। অজিদের বাউন্সার সামলে হনুমা বিহারিকে সঙ্গে নিয়ে সিডনি টেস্ট ড্র করতে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন অশ্বিন।
আরও পড়ুন : ৩ উইকেট খুইয়ে খোঁড়াচ্ছে রুট বাহিনী, তৃতীয় দিনের শেষেই ম্যাচ পকেটে পুরে ফেলল ভারত
সিডনির মতোই চিপকের ঘূর্ণি পিচে ব্যাট হাতে ‘দেওয়াল’ হয়ে ওঠেন অশ্বিন। ৮ নম্বরে যখন নামেন, সে সময় ভারতের রান ছিল ৬ উইকেটে ১০৬।
এর পরই রুটদের বিরুদ্ধে ১৪৮ বলে ১০৬ রান। স্ট্রাইক রেট ৭১.৬২। মূলত, অশ্বিনের ইনিংসে ভর করেই ভারতের লিড বেড়ে দাঁড়ায় ৪৮২ রান।
মঙ্গলবার যখন মাঠে নামে ভারত, তখন জয়ের জন্য প্রয়োজন ৭ উইকেট। এদিন ড্যান লরেন্সকে প্রথমে ফেরান অশ্বিন। তারপরেই নিয়মিত ব্যবধানে পরপর ফিরে যান বেন স্টোকস, অলি পোপ, বেন ফোকস।
অস্ট্রেলিয়ার মাটিতেও প্রথম টেস্টে গো-হারা হওয়ার পর দুর্দান্ত ভাবে ফিরে এসেছিল ভারতীয় দল। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেও যেন সেই একই চিত্রনাট্য ফিরে এল।
প্রথম টেস্টে ২২৭ রানে হারের পর দ্বিতীয় টেস্টেই এর বদলা নিলেন কোহালিরা। ৩২৭ রানে জিতে এ বার সিরিজ জয়ের লক্ষ্যই কোহালিদের পাখির চোখ!