বাম ছাত্র-যুব’র ভিড়ে ভাসল ধর্মতলা! ‘ইনসাফ’ হবে, দাবি সেলিমের

কলকাতা: চারিপাশে কর্মী-সমর্থকের ভিড়। তার মধ্যেই জ্বলজ্বল করছে লাল-সাদা পতাকা। কোথাও নিহত ছাত্র নেতা আনিস খানের ছবি। সিপিএমের ছাত্র-যুব সংগঠনের ‘ইনসাফ সভা’য় মঙ্গলবার এ ভাবেই ভিড়ে ভাসল কলকাতার ধর্মতলা।

ছাত্রনেতা আনিস খান হত্যা থেকে শুরু করে কলকাতার রাস্তায় দিনের পর দিন আন্দোলনে বসা চাকরিপ্রার্থীদের প্রাপ্য চাকরি দেওয়া-সহ সব সমস্যার বিহিত চেয়ে সিপিএমের ছাত্র-যুব সংগঠনের ডাকে এ দিন কর্মসূচি। আনিস খান, মৈইদুল মিদ্দা, সুদীপ্ত গুপ্ত, স্বপন কোলে ও সাইফুদ্দিনের বিচার চেয়ে পথে সিপিএম-এর ছাত্র-যুবরা। ধর্মতলার মোড়ে তখন যেন লালঝড়। চারিদিকে জড়ো হয়েছেন বামেদের ছাত্র-যুবরা। মধ্য কলকাতা কার্যত অবরুদ্ধ। তিনটি মূল পয়েন্ট তিনটি বড়ো মিছিল ধর্মতলার ইনসাফ সভায় বেলা ১টার মধ্যে পৌঁছয়। একটি মিছিল শিয়ালদহ থেকে চলে আসে, দ্বিতীয়টি হাওড়া স্টেশন থেকে এবং তৃতীয়টি পার্কস্ট্রিট থেকে। এছাড়াও, ছোট বড় বেশ কিছু মিছিল কলকাতার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ধর্মতলায় পৌঁছয়।

ভিক্টোরিয়া হাউজের সামনে সভা করার অনুমতি চেয়েছিলেন আয়োজকরা। মেলেনি। যে কারণে প্রথমে ওয়াই চ্যানেলে সভা শুরু হয়েছিল। পরে ভিড়ের চাপে সভাস্থল পরিবর্তন করতে বাধ্য হন তাঁরা। ভিক্টোরিয়া হাউজের সামনে লরির উপর অস্থায়ী মঞ্চ বাঁধা হয়। সেখানে দাঁড়িয়েই বক্তব্য রাখেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম-সহ অন্য়ান্য নেতৃত্ব।

এ দিন বক্তৃতা করার সময় সেলিম বলেন, “এ বার এসএফআই, ডিওয়াইএফআই-এর কোনো মিছিল, সভা হলে আর অনুমতির কথা বলবেন না। পুলিশকে বলছি, এর পর আর সাহস দেখাবেন না। জেলায় জেলায় মানুষ পথে নামছে। মানুষের মন তৃণমূল বুঝতে পারছে না। ছদ্ম বিরোধী বিজেপিও বুঝতে পারছে না। পুলিশও বোঝেনি”।

তিনি আরও বলেন, ‘জনগণ জাগছে, ১০-১১ বছরের দমবন্ধ করা অবস্থা ভেঙে বেরিয়ে আসতে চাইছে। আমার ইনসাফের পক্ষে। অধিকার কে কাকে দেয়? অধিকার লড়ে নিতে হয়, অধিকার কেড়ে নিতে হয়। ইনসাফ হবে, তবে তার আগে তৃণমূল-বিজেপি জঞ্জাল সাফ করতে হবে। গোড়া থেকে তৃণমূলর ঘাস উপড়ে ফেলতে হবে। কোথাও কোথাও ঘাস বাঁশ হয়েছে, তা কেটে ফেলতে হবে।

Related posts

স্বাভাবিকের থেকে নীচে তাপমাত্রা! রবিতেও বৃষ্টি, সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া

বিজেপি ক্ষমতায় ফিরলে মমতা, স্তালিন, তেজস্বীদের জেলে পাঠাবে, বিস্ফোরক কেজরিওয়াল

মা, স্ত্রী, সন্তান-সহ ৫ জনকে খুন করে উত্তরপ্রদেশে আত্মঘাতী এক ব্যক্তি