কলকাতা: কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের দাবি, ঠাকুরনগর ঠাকুরবাড়ি উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে চিঠি এসেছে তাঁর কাছে। ওই চিঠি দিয়েছে লস্কর-ই-তইবা। টাইপ রাইটারে বাংলা হরফে টাইপ করা ওই চিঠিতে দেগঙ্গার বাসিন্দা এক ব্যক্তি হুমকি দিয়ে লিখেছেন, দেশে সিএএ কার্যকর হলে ঠাকুরনগর ঠাকুরবাড়ি বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়া হবে। ঘটনায় কিছুটা আশঙ্কিত শান্তনু ঠাকুর প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ইতিমধ্যে বিষয়টি জানিয়েছেন।
চিঠি অনুযায়ী, উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার হাদিপুর গ্রাম থেকে হুমকি চিঠিটি পাঠানো হয়েছে। পাঠিয়েছেন, নজরুল ইসলাম, সাহেব আলি এবং ফজের আলি নামের দুই ব্যক্তি। চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘‘শান্তনুবাবু আশা করি ভাল আছেন। আপনাকে জানাচ্ছি যে, পশ্চিমবঙ্গে যদি এনআরসি হয় এবং এনআরসি-র কারণে মুসলমানদের উপর কোনও অত্যাচার হয় তা হলে পশ্চিমবঙ্গ তথা সারা ভারত জ্বলবে। আপনাদের ঠাকুরবাড়ি উড়িয়ে দেওয়া হবে। ঠাকুরবাড়ির কাউকে বাঁচতে দেওয়া হবে না। লস্কর-ই-তৈবার নাম শুনেছেন তো। আমরা লস্কর-ই-তৈবার সদস্য।’’
অন্য দিকে, এই চিঠিকে নাটক বলে দাবি করেছেন, তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর। তিনি বলেন, রবিবার রাতে বড়মার ঘরে ঢোকার জন্য শান্তনু যা করেছে সেদিক থেকে নজর ঘোরাতে এসব নাটক করছে। কেউ কোনও চিঠি দেয়নি সব বানানো। তাঁর অভিযোগ, অভিযোগ, ‘‘আমার মনে হয় শান্তনু নিজে তাঁর লোক দিয়ে এই চিঠি পাঠিয়েছেন। সিএএ প্রায় এক মাস হল চালু হয়েছে। এত দিন কিছু হয়নি। এখন লোকসভার আগে মানুষের সহানুভূতি ভোট পাওয়ার জন্য এই চিঠি নিজের লোক দিয়েই পাঠিয়েছেন তিনি। আমি মনে করি এই চিঠি নিয়ে তদন্ত হওয়া উচিত।”
প্রসঙ্গত, সোমবার দুপুর ২টো নাগাদ ওই চিঠি ডাকমাধ্যমে তাঁকে পাঠানো হয়েছে বলে শান্তনু দাবি করেছেন। তার কয়েক ঘণ্টা আগেই ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়িতে ঘটে গিয়েছে তুলকালাম কাণ্ড। প্রয়াত বড়মা বীণাপানি ঠাকুরের ঘর নিয়ে গন্ডগোল। অভিযোগ, জোর করে বড়মার ঘরে ঢুকে পড়েন শান্তনু ঠাকুর। গাইঘাটা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ মমতা বালা ঠাকুর। অন্য দিকে, মমতাবালার বিরুদ্ধে ঘর দখল রাখার পাল্টা অভিযোগ বিজেপি সাংসদ শান্তনুর।
আরও পড়ুন: শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে তালা ভেঙে বড়মার ঘর দখলের অভিযোগ মমতাবালার