ওয়েবডেস্ক : দেশের একাধিক শহরে পেট্রলের দাম সেঞ্চুরির গণ্ডি ছাড়িয়েছে। ডিজেলের অবস্থাও তথৈবচ। মানুষের নাভিশ্বাস উঠছে। কেন্দ্রকে কাঠগড়ায় তোলা শুরু করেছে বিরোধীরা।
পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে রবিবারই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখেছিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। গত কয়েকমাস ধরে কেন্দ্র সরকার যে অতিরিক্ত অন্তঃশুল্ক পেট্রোপণ্যের উপর চাপিয়েছে, তা প্রত্যাহার করে সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দেওয়ার আবেদন জানান তিনি।
স্পষ্ট ভাষায় সোনিয়ার আক্রমণ, সাধারণ মানুষের দুর্দশার কথা না ভেবে নিজের লাভের হিসেব করছে সরকার। আজ সকালে রাহুল গান্ধীও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি ইস্যুতে সরকারকে বিঁধেছেন।
বিরোধীদের আক্রমণের প্রধান কারণ পেট্রোপণ্যে করের বোঝা। রাজ্য সরকারগুলির তুলনায় পেট্রোপণ্যে অনেক বেশি কর নেয় কেন্দ্রীয় সরকার।
আরও পড়ুন : পেট্রোল ডিজেলে সেস কমানোর সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের
গতকালই রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র বলছিলেন, এই মুহূর্তে প্রতি লিটার পেট্রলে ৩২.৯০ টাকা ও ডিজেলপিছু ৩১.৮০ টাকা কর এবং সেস নিচ্ছে কেন্দ্র। সেখানে রাজ্য সরকার প্রতি লিটার পেট্রলে মাত্র ১৮.৪৬ টাকা ও ডিজেলে লিটারপিছু মাত্র ১২.৫৭ টাকা কর নিচ্ছে।
বিরোধীদের দাবি, পেট্রোপণ্য থেকে কেন্দ্রের আয় যেহেতু রাজ্য সরকারের তুলনায় অনেক বেশি। তাই মূল্য নিয়ন্ত্রণ করার দায়ও কেন্দ্রের উপর বেশি বর্তায়। স্বাধীনতার পর থেকে কেন্দ্রই মূলত পেট্রপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণ করে।
ঊর্ধ্বমুখী জ্বালানির মূল্য নিয়ন্ত্রণে বেশ কয়েকটি রাজ্য ইতিমধ্যেই উদ্যোগী হয়েছে। কংগ্রেস শাসিত রাজস্থান এবং ছত্তিশগড় পেট্রপণ্যের উপর করছাড় দিয়েছে।
বিজেপি শাসিত আসাম, করোনাকালে পেট্রল ও ডিজেলের উপর যে অতিরিক্ত সেস বসিয়েছিল, তা প্রত্যাহার করেছে। একধাক্কায় অনেকটা দাম কমিয়েছে মেঘালয় সরকার।
গতকাল পশ্চিমবঙ্গ সরকারও পেট্রল-ডিজেলে একটাকা করে সেস কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সব মিলিয়ে ১৮টি রাজ্য ইতিমধ্যেই পেট্রোপণ্যে ভ্যাট কমিয়েছে।
একের পর এক রাজ্য যখন জ্বালানির দাম কমাতে এভাবে উদ্যোগী হচ্ছে, তখন মোদি সরকার কার্যত নির্বিকার। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে কেন্দ্রের সদিচ্ছা নিয়ে।