নয়াদিল্লি: ২০১৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ রদের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। ৩৭০ ধারা বাতিল কি সাংবিধানিক ভাবে বৈধ? সোমবার তার রায় দেবে সুপ্রিম কোর্ট।
২০১৯ সালের ৫ আগস্ট, রাষ্ট্রপতির এই আদেশ আইনগত এবং সাংবিধানিকভাবে বৈধ ছিল কিনা, সেই বিতর্কের জবাব মিলতে পারে আজই। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কাউল, সঞ্জীব খান্না, বিআর গাভাই এবং সূর্য কান্তের সমন্বয়ে গঠিত ৫ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ এই রায় দেবেন। কেন্দ্রের ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে এমন একাধিক পিটিশনের উপর সিদ্ধান্ত নেবে বেঞ্চ।
গত ২ জুলাই থেকে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন সাংবিধানিক বেঞ্চে শুরু হয় ধারাবাহিক শুনানি। ৫ সেপ্টেম্বর এই বিষয়ে রায়দান স্থগিত রাখে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। রায় ঘোষণার পরেই জম্মু ও কাশ্মীরে অশান্তি ছড়িয়ে পড়তে পারে, এই আশঙ্কায় আঁটসাঁট করা হয়েছে নিরাপত্তা।
যে কোনও পরিস্থিতিতে উপত্যকায় শান্তি বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর পুলিশ। শ্রীনগর প্রশাসনের তরফে একটি নির্দেশিকা দিয়ে বলা হয়েছে, সাম্প্রদায়িক কিংবা সন্ত্রাসবাদে মদত জোগাতে পারে, এমন কোনও পোস্ট সমাজমাধ্যমে করা যাবে না। অন্যথায় আইনানুগ পদক্ষেপ করা হবে। ফোনে আপত্তিকর কোনও বার্তা পেলে দ্রুত পুলিশকে জানানোরও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহার করে নেওয়ার ফলে বিশেষ মর্যাদা হারায় জম্মু-কাশ্মীর। জম্মু ও কাশ্মীরকে ভেঙে দুটি ভিন্ন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসাবে ঘোষণা করা হয়। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হলেও, কেন্দ্রের যুক্তি ছিল এক দেশে দুই সংবিধান থাকতে পারে না। জম্মু-কাশ্মীরের এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের তকমা সাময়িক বলেই জানানো হয়েছিল। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেই শীর্ষ আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছিল।