শাসক ও বিরোধী দলের বিধায়কদের মধ্যে হাতাহাতির জেরে বিধানসভার অন্দরে তুলকালামকাণ্ড ঘটল সোমবার। এর জেরে রক্তও ঝরল বিধানসভার অন্দরে, ছিঁড়ল বিধায়কদের জামা, ভাঙল চশমাও। নজিরবিহীন এই ঘটনায় অভিযোগের তির অবশ্য বিজেপি বিধায়কদের দিকেই।
গোটা ঘটনায় বিরক্ত স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ পাঁচ বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড করলেন। জানা যাচ্ছে, শুভেন্দু অধিকারী ছাড়াও এই তালিকায় রয়েছেন মাদারিহাটের বিধায়ক মনোজ টিগ্গা, পুরুলিয়ার বিধায়ক নরহরি মাহাতো, শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ এবং ফালাকাটার বিধায়ক দীপক বর্মন।
বিধানসভা সূত্রে খবর, সোমবার অধিবেশন চলাকালীন গোলমাল বাঁধানো এবং চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদারকে মারধর করার অভিযোগে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে সাসপেন্ড করার প্রস্তাব আনেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এরপরই স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। তিনি জানিয়ে দেন, শুভেন্দু অধিকারী-সহ আরও চার বিধায়ককে সাসপেন্ড করা হল। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘অনেক সদস্য জখম হয়েছে। অধিবেশনের শেষ দিনে এটা প্রত্যাশা করিনি’।
অপরদিকে শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, ‘স্পিকারের সামনেই আমাদের মারধর করা হয়েছে। বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে। উল্টে প্রতিবাদ করে আমি সাসপেন্ড হলাম’। যদিও এই দাবি মানতে নারাজ রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তাঁর পাল্টা দাবি, ‘বিজেপি গুন্ডাগিরি করেছে বিধানসভায়। এই ঘটনার জন্য তাঁরাই দায়ী’। উল্লেখ্য, সোমবার রাজ্য বিধানসভা অধিবেশনের শেষ দিন ছিল। সভায় শুরুতেই শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপি বিধায়করা ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখতে থাকেন। স্পিকার তাঁদের মানা করলেও বিক্ষোভ চলতে থাকে। এরপরই শাসক ও বিরোধী বিধায়কদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। আহত হন তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার। তাঁর নাক ফেটে রক্ত ঝরতে থাকে, চশমাও ভেঙে যায়। এই মুহূর্তে SSKM হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে।