ওয়েবডেস্ক : নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৫০ হাজার ভোটে হারাতে না পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেবার ঘোষণা শুভেন্দু অধিকারীর। সোমবার টালিগঞ্জ ট্রাম ডিপো থেকে রাসবিহারী পর্যন্ত মিছিলের শেষে রাসবিহারীর সভায় শুভেন্দু বলেন, ‘‘নন্দীগ্রামে মাননীয়াকে যদি হাফ লাখ ভোটে হারাতে না পারি, রাজনীতি ছেড়ে দেব।’’
সোমবার দুপুরেই শুভেন্দুর ডেরা নন্দীগ্রামে গিয়ে তিনি নিজে নন্দীগ্রামে প্রার্থী হবেন বলে চমক দেন মমতা। এর পর বিকেলেই তৃণমূলের ‘গড়’ তথা মমতার দীর্ঘ সময়ের লোকসভা কেন্দ্র দক্ষিণ কলকাতায় বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে মিছিল করেন শুভেন্দু।
সেই মিছিলে খানিক বিশৃঙ্খলাও তৈরি হয়। তৃণমূল-বিজেপি ইট-পাটকেল ছোঁড়া, লাঠি-হাতে তাণ্ডব, মোটরবাইকও ভাঙচুর হয়। ওই মিছিলের পরেই রাসবিহারীতে সমাবেশ ছিল বিজেপি-র।
সেই সমাবেশ থেকেই মমতাকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছোড়েন শুভেন্দু। জানিয়ে দেন, পূর্বঘোষণা মতোই মঙ্গলবার তিনি নন্দীগ্রামের হেড়িয়ায় মমতার পাল্টা সভা করবেন। মমতা শুধু ভোটের সময়ে নন্দীগ্রামে যান বলে আক্রমণ শানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘শেষ বার গিয়েছিলেন ২০১৫ সালে ২১ ডিসেম্বর। প্রার্থী হিসেবে আমার নাম ঘোষণা করে এসেছিলেন। এর পরে আবার গেলেন ভোটের আগে।’’
সোমবার বারবার নন্দীগ্রাম নিয়ে তাঁর আবেগের কথা বলেছেন মমতা। শুভেন্দুর প্রশ্ন, নন্দীগ্রামের জন্য কী করেছেন মমতা? অষ্টম শ্রেণির পাঠ্য বইয়ে সিঙ্গুরে শিল্প বন্ধ করে দেওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু নন্দীগ্রামের লড়াই নিয়ে একটা লাইনও নেই।
আরও পড়ুন : শুভেন্দুর ডেরায় মাস্টারস্ট্রোক, নন্দীগ্রামেই প্রার্থী মমতা
নন্দীগ্রামে গুলি চালানো পুলিশকর্তা অরুণ গুপ্তের বয়স ৬০ বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরেও তৃণমূল সরকার চার বার তাঁর চাকরির মেয়াদ বাড়িয়েছে। অধিকারীপাড়ায় গুলি চালানো পুলিশ অফিসার সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়কে আদর করে দলে নিয়ে এসেছেন তৃণমূলের মহাসচিব। কড়া আক্রমণ শুভেন্দুর।