ওয়েবডেস্ক : বৃষ্টির জেরে নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ হয়েছে চতুর্থ দিনের খেলা। ফলে পঞ্চম দিন কিছুটা আগে খেলা শুরু হবে। ভারতের হাতে থাকবে ৯৮ ওভার। লক্ষ্য ৩২৪। এই অবস্থায় ভারত জয়ের জন্য ঝাঁপাবে নাকি ড্রয়ের মানসিকতা নিয়ে নামবে, এটাই এখন সবথেকে বড় প্রশ্ন।
চতুর্থ দিনের শেষে ম্যাচের পরিস্থিতি যা, তাতে জয়, ড্র, হার— তিন রকম ফলই সম্ভব।
সিডনি টেস্টে লক্ষ্যমাত্রা কম থাকলেও ঋষভ পন্থের ব্যাটিংয়ের সৌজন্যে একসময় জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলেন অজিঙ্ক রাহানেরা। পন্থ আউট হওয়ার পর হারের ভ্রূকুটি ছিল। হনুমা বিহারী এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিনের অলৌকিক ইনিংসে ভর করে ম্যাচ ড্র করে ভারত। দু’জনের কেউই এই টেস্টে নেই।
ব্রিসবেনে প্রথম ইনিংসে ওয়াশিংটন সুন্দর এবং শার্দূল ঠাকুর দুরন্ত খেলেছেন। কিন্তু তাঁদের তখন ম্যাচ বাঁচানোর দায় ছিল না। সেই পরিস্থিতি সামনে এলে তখনও একই রকম ভাবে ঠান্ডা মাথায় খেলতে পারবেন কি না, সেটা দেখার।
আরও পড়ুন : দাবাং ভারতের প্রশংসায় বিশেষজ্ঞরা, সুন্দর-শার্দুলে ভর করে ভারতের ৩৩৬
মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্স, জস হ্যাজলউডদের আগুনে বোলিংয়ের সামনে যদি কোনও ভাবে টিকে যান রোহিত শর্মা, শুভমন গিলরা, তাহলে জয়ের স্বপ্ন দেখতেই পারে ভারত। কিন্তু প্রথম ঘণ্টা বা তার পরের দিকে টপ অর্ডার ফিরে গেলে ম্যাচ বাঁচানো ছাড়া কোনও উপায় থাকবে না ভারতের হাতে।
বস্তুত, গাব্বায় এর আগে এত রান তাড়া করে কেউ জেতেনি। চতুর্থ ইনিংসে ৪৫০ রান তুলেও পাকিস্তানকে হারতে হয়েছিল। ১৯৬৮-তে ৩৫৫ তুলেও ৩৯ রানে হেরেছিল ভারত। তারপরে ১৯৭৭-এ ৩২৪ তুলে হারতে হয়েছিল ১৬ রানে। এই মাঠে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের নজির রয়েছে ইংল্যান্ডের। ১৯৭৮-এ ১৭০ তুলে জিতেছিল তাঁরা!
পরিসংখ্যানেই পরিষ্কার, রাহানেদের কাজটা ঠিক কতটা কঠিন।