প্রথম পাতা খবর ভ্যাকসিন নিয়ে রাজ্যকে বঞ্চনার করেছে কেন্দ্র তোপ দেগে মোদীকে চিঠি মমতার

ভ্যাকসিন নিয়ে রাজ্যকে বঞ্চনার করেছে কেন্দ্র তোপ দেগে মোদীকে চিঠি মমতার

65 views
A+A-
Reset

ডেস্ক: ভ্যাকসিন নিয়ে রাজ্যকে বঞ্চনার করেছে কেন্দ্র এমনই অভিযোগও তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়ে ফের একবার তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন,  ‘রাজ্যে আড়াই কোটি মানুষকে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে।  রাজ্যের প্রয়োজন ১৪ কোটি ভ্যাকসিন।  কেন্দ্র অনেক টাকা তুলেছে, কিন্তু ভ্যাকসিন পাওয়া যাচ্ছে না।  ১৪ কোটির বদলে মাত্র ২ কোটি ১২ লক্ষ ভ্যাকসিন পাওয়া গিয়েছে। এই বিষয়ে ফের একবার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


মুখ্যমন্ত্রী কার্যত রাজ্যকে বঞ্চনার অভিযোগও তুলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘অনেক রাজ্যকে বেশি ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে, অনেককে দেওয়া হচ্ছে না।  উত্তরপ্রদেশ বিজেপি রাজ্য বলে বেশি দেবেন, বাংলাকে দেবেন না, এটা অন্যায়।  ভ্যাকসিন না পেলে কীভাবে সবাইকে ভ্যাকসিন দেব?’

তিনি বলেছেন,  ‘ মানুষ ডেডবডি হয়ে গেলে ভ্যাকসিনেসনের সার্টিফিকেট কি মানুষ টাঙিয়ে রাখবে!’
দৈনিক সংক্রমণ অনেকটাই কমে গিয়েছে। প্রত্যকদিন ৮০০ থেকে ৯০০ এর মধ্যে আটকে দেওয়া হয়েছে এই রেটকে। সেটাও ধীরে ধীরে আরও কমিয়ে আনা হবে বলে দাবি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
শুধু তাই নয়, পিজিটিভ রেট অনেকটাই কম। এই মুহূর্তে ডিসচার্জ রেট ৯৮ শতাংশে দাঁড়িয়ে বলে দাবি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। যদিও আমরা জানি না তৃতীয় ওয়েভ আসছে কিনা? সেই অনুযায়ী তো ভ্যাকসিন দ্রুত দিতে হবে সাধারন মানুষকে। কিন্তু যদি কেন্দ্র ভ্যাকসিন না দেয় তাহলে কীভাবে সাধারণ মানুষ তা পাবে?


স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলছেন ৭৫ লক্ষ দিয়েছি। আদতে ২৫ লক্ষ পেয়েছি। আজ চিঠি দিয়েছি, আমাদের রাজ্যকে টিকা দেওয়া হোক। ঠিক মতো আসছে না। ফলে কোনওদিন আসছে, কোনওদিন আসছে না। ১৪ কোটি টিকা দেওয়ার ক্ষমতা রাখি। পাঠাতে তো হবে। মাসে ২ কোটি করে দিন। তাহলেও তো ৬ মাস লাগবে। তৃতীয় ঢেউ তো চলে আসবে। প্রধানমন্ত্রীকে টিকার দাবিতে চিঠি দিয়েছি। হয়তো উত্তর পাব না। কারণ উত্তর আমরা পাই না। তাও প্রধানমন্ত্রীর নজরে নিয়ে আসা আমার দায়িত্ব। উত্তর না পেলেও চিঠি লিখে যাব।

আরও পড়ুন: মিশন ২০২৪, চলতি মাসেই দিল্লি যেতে পারেন মমতা


উপনির্বাচন
  এ দিন বলেন,’রাজ্যসভার দু’টি উপনির্বাচন নিয়ে রাজ্য সরকারের কাছে মতামত চেয়েছিল। মুখ্যসচিব জানিয়ে দিয়েছেন, আমাদের এখানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। রাজ্যসভার জন্য তৈরি। এবং ৭টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের জন্যেও প্রস্তুত। তাছাড়া আলাদা আলাদা এলাকায় উপনির্বাচন। বাংলায় সংক্রমণের হার ১.৫ শতাংশ। এমন এলাকাও আছে যেখানে একটা কেসও নেই। যেমন কাল কলকাতা পুরসভার রিপোর্ট দেখছিলাম, ভবানীপুরের অনেক ওয়ার্ড কোভিডশূন্য। সংবিধান অনুযায়ী ৬ মাসের মধ্যে উপনির্বাচন করা উচিত। বেআইনি কিছু চাইছি না আমরা। বিজেপি ভয় পাচ্ছে কারণ ওরা জানে সব নির্বাচনে হারবে’।
দীঘা-মন্দারমণি ব্যাবসা
বঙ্গের সাজানো সৈকত সম্পূ্র্ণ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। কার্যত শ্মশানের স্তব্ধতা নেমে এসেছিল জমজমাট দিঘা, মন্দারমনি, তাজপুরের সৈকতে। দোকানপাট ভেসে গিয়েছে জলের স্রোতে, রাস্তা ভেঙে গিয়েছে। ঘরবাড়ি হারিয়েছেন বহু মানুষ। তাঁদের জন্য দ্রুততার সঙ্গে পুনর্গঠনের কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার দ্রুত তা সম্পন্ন করার জন্য তিন ধাপে কাজের কথা ঘোষণা করলেন তিনি।

বৃহস্পতিবার তারই প্রথম ধাপ হিসেবে দিঘা সৈকতে ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে সম্পূর্ণ ধসে পড়া দোকানগুলি ফের চালুর জন্য ৫২ টি মোবাইল ভেন্ডিং কার তুলে দেওয়া হল ব্যবসায়ীদের। নবান্ন থেকে ভারচুয়ালি ব্যবসায়ীদের সেসব প্রদান করলেন মুখ্যমন্ত্রী। পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক, মহকুমা শাসকের হাত থেকে সুসজ্জি, নতুন ভ্যানগুলি নিলেন ব্যবসায়ীরা। 

আরও খবর

মন্তব্য করুন

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

সম্পাদকের পছন্দ

টাটকা খবর

©2023 newsonly24. All rights reserved.