ভাষা আন্দোলন, সাংবাদিক ও লেখক আব্দুল গফ্ফর চৌধুরী লন্ডনের হাসপাতালে পরলোকগমন করেন। মুত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। মৃত্যুকালে তিনি তিন মেয়ে এবং এক ছেলে রেখে গেছেন।
দীর্ঘদিন ধরে তিনি জটিল রোগে ভুগছিলেন এবং বেশ কিছু দিন ধরে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আজ ভের রাতে হাসপালে তিনি মারা যান।
২১ ফেব্রুয়ারীর ভাষা শহীদদের উদ্দেশ্যে লিখিত গানটি (আমার ভায়ের রক্তে রাঙানো ২১শে ফেব্রুয়ারী, আমি কি ভুলিতে পারি) স্মরণীয় হয়ে আছে।
ইনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হন ১৯৫৯ সালে। এরপর তিনি ১৯৭৪ সালের ৫ অক্টোবর ইংল্যান্ডে আসেন। কিন্তু তিনি বাংলাদেশের সাথে যোগাযোগ রেখে গেছেন সব সময়ই। সেখানকার কাগজে নিয়মিত লিখতেন।
ইংল্যান্ডে আসার আগে তিনি সাংবাদিক হিসেবে ঢাকার বিভিন্ন জাতীয় খবরের কাগজে লেখা-লিখি করতেন। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি জয় বাংলা, যুগান্তর এবং আনন্দবাজের পত্রিকায় কাজ করেছেন।
তিনি ‘‘ডানপিঠে সৌকত’’, ‘‘চন্দ্রদ্বীপের উপাখ্যান’’, ‘‘নাম না জানা ভোর’’, ‘‘নীল যমুনা’’, ‘‘শেষ রজনীর চাঁদ’’, ‘‘পলাশী থেকে ধানমণ্ডি’’ ইত্যাদি বই লাখেছেন।
বঙ্গবন্ধুর হত্যার ওপর একটি ছায়াছবির প্রোজোযানা করেছেন। আব্দুল গপ্পর সাহেব বাংলা অ্যাকাদেমি সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন ১৯৬৭ সালে। ২০০৯ সালে পেয়েছেন স্বাধীনতা পদক।
আব্দুল সাহেব ইউনেসকোর সাহিত্য পুরস্কার, বঙ্গবন্ধু পুরস্কার, তাঁর জীবনের কাজের ওপর সংহতি পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি তাঁর স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য বৃটেনে যান। তারপর থেকে তিনি সেখানেই থেকে যান। সেখানেই তাঁর স্ত্রী সেলিমা চৌধুরী মারা গেলে তিনি একাই থাকতেন।