ডেস্ক: প্রয়াত হলেন তৃণমূল নেতা মুকুল রায়ের স্ত্রী কৃষ্ণা রায়। জানা গিয়েছে, আজ ভোর পৌনে ৫টায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। আগামীকাল দেহ নিয়ে আসা হবে কলকাতায়। করোনা আক্রান্ত হওয়ায় মুকুল রায়ের স্ত্রীকে ১১ মে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভেন্টিলেশনে থাকার পর ২ সপ্তাহ ছিলেন একমো সাপোর্টে।
করোনা পরবর্তী ফুসফুসের সমস্যার কারণে সংকটজনক অবস্থায় ছিলেন তিনি। দিন কয়েক আগে ফুসফুস প্রতিস্থাপনের জন্য তাঁকে চেন্নাই নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়। শেষমেষ থামল লড়াই।
আরও পড়ুন: ২১ জুলাইয়ের শহিদ দিবসের অনুষ্ঠান মঞ্চ বেঁধে নয়, হবে ভারচুয়ালি, ঘোষণা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের
গত ১৭ জুন দিল্লি থেকে কলকাতায় আসা এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে চেন্নাই নিয়ে যাওয়া হয় কৃষ্ণা রায়কে। এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটিতে মেডিক্যাল সাপোর্ট দেওয়ার সমস্ত রকম ব্যবস্থা তো ছিলই। দুই পাইলট চিকিৎসক, অ্যাটেনডেন্ট-সহ মোট সাত জন ছিলেন সেখানে। চেন্নাইয়েই চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।
মুকুল রায়কে সমবেদনা জানাতে তাঁর সল্টলেকের বাড়িতে যান মুখ্যমন্ত্রী
মুকুল রায়কে সমবেদনা জানাতে তাঁর সল্টলেকের বাড়িতে যান মুখ্যমন্ত্রী৷ মুকুল রায়ের ছেলে শুভ্রাংশু অবশ্য চেন্নাইতেই রয়েছেন৷ এদিন বিকেল মুকুল রায়ের বাড়িতে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী৷ প্রায় আধ ঘণ্টা সেখানে ছিলেন তিনি৷ মুকুল রায়ের বাড়ি থেকে বেরনোর সময় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মুকুল আমার দীর্ঘদিনের সহকর্মী। ওর স্ত্রীকে আমি দীর্ঘদিন ধরে চিনতাম। আমরা ভেবেছিলাম উনি সুস্থ হয়ে যাবেন। আমরা ভেবেছিলাম হয়তো সুস্থ হয়ে যাবে৷ কিন্তু কিছু করা গেল না৷ ‘
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, আগামিকাল বুধবার সকাল সাতটা নাগাদ বিমানে কৃষ্ণাদেবীর দেহ নিয়ে কলকাতায় পৌঁছবেন শুভ্রাংশু৷ বিমানবন্দর থেকে কৃষ্ণাদেবীর মরদেহ কাঁচরাপাড়ার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে৷ তার পর হবে শেষকৃত্য৷