বিজেপিকে হারাতে ত্রিপুরার মহিলা ভোটব্যাঙ্ক দখলই লক্ষ্য তৃণমূলের

ডেস্ক: বাংলা জয়ের পর এবার ত্রিপুরা জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী তৃণমূল। ইতিমধ্যে মহিলা কংগ্রেসের প্রধান সুস্মিতা দেবকে তৃণমূলে যোগদান করিয়ে ত্রিপুরায় পাঠানো হয়েছে। ২০২৩ বিধানসভা ভোটে বিপ্লব দেবকে হারিয়ে ক্ষমতা দখল করতে মরিয়া তৃণমূল কংগ্রেস। সুস্মিতা দেব সেই পরিকল্পনা মতোই দলের সংগঠন বাড়ানোর উপর জোর দিয়েছেন। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর ত্রিপুরা সফরে যাচ্ছেন দলের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ওইদিনই পদযাত্রা শেষে ঘোষণা হতে পারে স্টিয়ারিং কমিটি।


কংগ্রেস ছেড়ে সম্প্রতি তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নিয়েছেন সুস্মিতা দেব। তাঁকে ত্রিপুরার মুখ করে পাঠানো হয়েছে। তিনি ১ সেপ্টেম্বর ত্রিপুরা অভিযান শুরু করেছিলেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযান শুরু করবেন ১৫ সেপ্টেম্বর। এই দু-সপ্তাহে তৃণমূল কংগ্রেসের কতটা উত্তরণ হয়েছে, তার ব্যাখ্যা দেন সুস্মিতা দেব।


সুস্মিতা দেব এদিন স্পষ্ট করে দেন, বিজেপিকে হারাতে ত্রিপুরার মহিলা ভোটব্যাঙ্ক দখলই লক্ষ্য তৃণমূলের। ত্রিপুরায় মোট জনসংখ্যার ৪৯ শতাংশই মহিলা। মহিলাদের ভিন্ন ভোটব্যাঙ্ক রয়েছে এ রাজ্যে। মহিলাদের চাহিদার কথা যদি কোনও দল আলাদা করে বোঝে, তবে সেই দলের প্রতি আকৃষ্ট হবেন মহিলারা। আর সেটা হতে শুরু করেছে।

আরও পড়ুন: গুজরাটের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন ভূপেন্দ্র পটেল, সোমবারই নিতে পারেন শপথ


আসলে ত্রিপুরা দখলে রাজ্যের ৪৯ শতাংশ মহিলা ভোটকে টার্গেট করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সম্ভবত সেকারণেই মহিলা ভোটারের উপর বেশি জোর দিচ্ছে তৃণমূল। স্থানীয় স্তরে আলাদা করে মহিলা তৃণমূলের সংঠন তৈরির উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। প্রতি বিধানসভার জন্যে খোলা হচ্ছে আলাদা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ। সংগঠনের মহিলা সদস্যদের টার্গেট ১০০০টি বাড়িতে গিয়ে প্রচার করা। ত্রিপুরার ৬০ বিধানসভা আসন ভাগ করে দুর্গাপুজোর সময় আলাদা করে প্রচার করা হবে। পাড়ায় পাড়ায় চালাতে হবে মহিষাসুরমর্দিনী। তৃণমূলের প্রচারে হাতিয়ার হবে স্বাস্থ্য সাথী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী, রুপশ্রীর মতো প্রকল্প।

Related posts

হাজি নুরুল জেতার পর মমতার প্রথম ভিজিট সন্দেশখালি, ঘোষণা বসিরহাটে

নন্দীগ্রামে প্রচারে গিয়ে ‘ চোর ‘ স্লোগান শুনলেন শুভেন্দু

দেশের ৪৯টি আসনে ভোটের হার ৬০.০৯ শতাংশ, পশ্চিমবঙ্গের সাতটি আসনে ৭৪.৬৫ শতাংশ