ডেস্ক: শেষ দফাতেও বাদ যায়নি উত্তেজনা। বিক্ষিপ্ত অশান্তির মধ্যেই শেষ হল একুশের বিধানসভা নির্বাচন। ৪টি জেলার ৩৫ আসনে ভোটগ্রহণ ছিল আজ।বিকেল ৫ টা পর্যন্ত ভোটের হার ৭৬.০৭ শতাংশ। মালদায় ৮০.০৬, মুর্শিদাবাদে ৭৮.০৭, কলকাতা উত্তর ৫৭.৫৩, বীরভূম ৮১.৮৭ শতাংশ ভোট পড়েছে।
বিকেল ৩ টে পর্যন্ত ভোট পড়ল ৬৮.৪৬ শতাংশ। এর মধ্যে বীরভূমে পড়েছে সব থেকে বেশি ভোট, ৩ টে পর্যন্ত পড়েছে ৭৩.৯২ শতাংশ ভোট। মুর্শিদাবাদে ভোট পড়েছে ৭০.৯১ শতাংশ, মালদহে ৭০.৫৮ শতাংশ। কলকাতা উত্তরে ভোট পড়েছে সবচেয়ে কম, ৩ টে অবধি সেখানে ভোট পড়েছে ৫১.৪০ শতাংশ। দুপুর ১টা পর্যন্ত ভোটের হার ৫৬.১৯ শতাংশ। সবথেকে কম ভোট পড়ল কলকাতায়। কলকাতা উত্তরে ভোট পড়ল ৪১.৫৮ শতাংশ, বীরভূমে ভোট পড়ল ৬০.০৮% শতাংশ, মুর্শিদাবাদে ভোট পড়ল ৫৮.৮৯% শতাংশ ও মালদায় ভোট পড়ল ৫৮.৭৮ শতাংশ।
শেষ দফার ভোটের সকালে উত্তপ্ত খাস কলকাতা। চলন্ত গাড়ি থেকে বোমা ছুঁড়ে পালাল দুষ্কৃতীরা। ভোটের সকালে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতে এই ঘটনা ঘটেছে। মহাজাতি সদনের সামনেই কেউ বা কারা বোমা ছুঁড়ে পালায়। কারা এই ঘটনার নেপথ্যে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
আরও পড়ুন: শেষ দফাতেও শিরোনামে শীতলকুচি, পুলিশকে ‘বিজেপির দালাল’ বলে আক্রমণ তৃণমূল প্রার্থীর
ক্যালকাটা বয়েজস্কুলে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেত্রী ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। বুথ পরিদর্শনে এসে হামলার শিকার বিজেপি প্রার্থী কল্যান চৌবে। বিজেপি ক্যাম্প অফিস ভাঙা হয়েছে বলে অভিযোগ জানালেন কল্যান চৌবে।
তেলেঙ্গাবাগানে তৃণমূল কর্মীদের মারধরের অভিযোগ কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। বেআইনি জমায়েত হঠাতে লাঠিচার্জ করে কেন্দ্রীয় বাহিনী। যুব তৃণমূল নেতার গাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। মালদহের মানিকচকের যুব তৃণমূল নেতা রেজাউল আলির গাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছে। বোলপুরের ধরমপুরে ভাঙচুর করা হল বিজেপি প্রার্থীর গাড়ি। লাঠি দিয়ে ভেঙে ফেলা হয় গাড়ির কাঁচ। বিজেপি প্রার্থী অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়-এর গাড়িত ওপর এই হামলা চালানো হয়।