কংগ্রেসের হাতে জোটের ক্যাপ্টেন্সি ছাড়তে নারাজ তৃণমূল



এতদিন কেন্দ্রে বিরোধী জোট মানেই অবধারিতভাবে সেই জোট এর নেতৃত্বভার থাকত কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে সর্ব বৃহৎ দল কংগ্রেস এর হাতে। তবে এবার সেই ঐতিহ্য পরিবর্তন শুধু সময়ের অপেক্ষা, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কারণ হিসেবে উঠে আসছে কংগ্রেস উদ্ভুত দুই দল এনসিপি ও তৃণমূল এর নাম। কারণ এই দুই দলই চাইছে না যে বিজেপি বিরোধী জোট এর নেতৃত্বে থাকুক কংগ্রেস।




গত বুধবার মুম্বইতে যখন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং এনসিপি কমান্ডার শারদ পাওয়ার মুখোমুখি আলোচনায় বসেন, সেখানেই স্থির হয়ে যায় নতুন এই রাজনৈতিক পন্থা। এমন সিদ্ধান্তের পেছনে কংগ্রেস এর দীর্ঘসূত্রিতা আর অকর্মন্যতাই কারণ হিসেবে উঠে এসেছে বলে সূত্রের খবর। ওই বৈঠকে স্থির হয়, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম দল তথা প্রধান বিরোধী দলের তকমা এখনও নিজেদের দখলে রাখা কংগ্রেসকে এখনই বিরোধী জোট এর বাইরে রাখা হবে না ঠিকই, তবে আর কোনও ভাবেই এই ব্যর্থ কংগ্রেসের হাতে নেতৃত্বভার তুলে দেওয়াও হবে না।



এদিনের এই দুই হেভিওয়েট নেতৃত্বের আলোচনায় তৃনমূলের তরফে নাকি এমন মন্তব্যও উঠে এসেছে যে, এই মুহূর্তে কংগ্রেস অত্যন্ত দুর্বল এবং রাজনৈতিক কর্মসূচির দিক থেকেও অনেকটাই ইন্যাক্টিভ। কংগ্রেস এখন এমন একটা দল, যারা নিজেদের দলটাকেই ঠিক মতন নেতৃত্ব দিতে পারছে না। তাই এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেস এর হতে জোটের ব্যাটন তুলে দেওয়াটা ঠিক হবে না। কংগ্রেস যদি জোটে থাকতে চায় তাহলে থাকতেই পারে, তবে সেক্ষেত্রে কংগ্রেসকেও থাকতে হবে আর পাঁচটা আঞ্চলিক দলের মত করেই।



অপরদিকে এনসিপি নেতৃত্বের বক্তব্য, তাঁদের নেতা শারদ পাওয়ার আগেই বুঝিয়ে দিয়েছেন, বিরোধী জোটের নেতৃত্বের রাশ হাতে রাখার ইচ্ছে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বকে ত্যাগ করতেই হবে। কারণ আগামী লোকসভার নির্বাচনে কংগ্রেস নিজেই একশো আসনের গণ্ডি অতিক্রম করতে পারবে কিনা, সেটা নিয়েই যথেষ্ট সন্দিহান। তাই বিরোধী জোট নয়, আগে নিজেদের দলটাকে ঠিক মতন চালিয়ে দেখাক আর লোক সভা নির্বাচনে একশোর বেশি আসনে জয়লাভ করে দেখাক। তারপর কংগ্রেস বিরোধী জোটকে নেতৃত্ব দেওয়ার কথা ভাববে।

Related posts

তাপপ্রবাহের মতো পরিস্থিতির মধ্যেই বৃষ্টির সম্ভাবনা জেলায় জেলায়

দেড়শোর বেশি যাত্রী নিয়ে এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইটে আগুন, বড়সড় দুর্ঘটনা এড়াল দিল্লি বিমানবন্দর

মমতাকে বেলাগাম আক্রমণ, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে শোকজ কমিশনের