ডেস্ক: একটানা বৃষ্টিতে বিপত্তি। কলকাতায় আবারও ভেঙে পড়ল পুরনো বাড়ি। ৯ নম্বর আহিরীটোলা স্ট্রিটে একটি পুরনো বাড়ির সাতসকালে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। বাড়ির একটা বড় অংশ এভাবে ভেঙে পড়ায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বাড়ি ভেঙে মৃত্যু হল তিন বছরের শিশু-সহ ২। মৃত্যু হয়েছে ৫২ বছরের এক প্রৌঢ়ার। এনডিআরএফ, ডিএমজি, দমকল, পুলিশ তৎপরতায় প্রায় আট ঘণ্টা পর উদ্ধারকাজ শেষ হয়। চার জন মূলত একেবারে ভিতরের দিকে আটকে পড়েছিল। এক অন্তঃসত্ত্বা-সহ আশঙ্কাজনক অবস্থায় চার জন আরজিকর হাসপাতালে চিকিত্সাধীন। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের ৩ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সুজিত বসু, শশী পাঁজা। ছিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনারও। আগেও ২ জনকে পাঠানো হয় হাসপাতালে।
বুধবার ভোর চারটে নাগাদ দোতলা ওই বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ে। ভিতরে ছিল দু’টি পরিবার। একটি পরিবারের সদস্যরা দেওয়ালে ছিদ্র তৈরি করে বেরিয়ে যায়। তবে আরেক পরিবারের গৃহকর্ত্রী ও শিশু আটকে পড়ে। বাড়ির অনান্য সদস্যরা বেরিয়ে আসতে পেরেছেন। ঘণ্টা দুয়েকের চেষ্টায় শিশু-সহ ওই মহিলাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। ঘটনাস্থলে দমকল, বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের বাহিনী রয়েছে। রয়েছেন পুলিশ আধিকারিকরাও।
আরও পড়ুন: ভোটগ্রহণের ৪৮ ঘন্টা আগেই ১৪৪ ধারা জারি করা হল ভবানীপুরে
রাত থেকে শুরু হয়েছে এক টানা বৃষ্টি। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, দোতলা ওই বাড়িটি দীর্ঘদিনের পুরনো। দীর্ঘদিন তাতে কোনও সংস্কারও হয়নি। তবে পুরনো ওই বাড়িতে কয়েকটি পরিবার থাকে। ভোর রাতে স্থানীয়রা হুড়মুড়িয়ে কিছু ভেঙে পড়ার শব্দ পান। বৃষ্টির সকালে তাঁরা প্রথমে তাতে আমল দেন নি। স্থানীয় দোকানদাররা বিষয়টি দেখতে পান। পরে তাঁদের চিত্কারে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। বাড়ির ভিতর থেকে আর্তনাদ শুনতে পান। ধ্বংসস্তূপের নীচে যে কয়েকজন আটকে পড়েছে, তা বুঝতে পেরে আগেই উদ্ধারকাজ শুরু করেন স্থানীয়া। খবর যান দমকল, পুলিশের কাছে। খবর পেয়ে আসেন বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সদস্যরাও। উদ্ধারকাজ চলছে। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। টানা বৃষ্টিতেই বাড়িটি ভেঙে পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।