ডেস্ক আমরা সিপিএমের মতো মানুষকে বোঝাতে পারিনি, তাই জিতে পারিনি। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে হারের কারণ নিয়ে চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি করলেন দিলীপ ঘোষ। দিলীপ ঘোষ স্বীকার করে নিলেন তাঁদের সেই টার্গেট ভুল ছিল। কেননা আমরা মানুষের মনে সেই বিশ্বাস ঢুকিয়ে দিতে পারিনি। মানুষ মনে করেছে বিজেপি ১৫০ আসন পাওয়ার যোগ্য নয়।
দিলীপ ঘোষ বলেন, বিরোধী আসনে বসেও মানুষের সেবা করা যায়, মানুষের জন্য কাজ করা যায়। বাংলার মানুষ দেখতে চাইছে আমরা বিরোধী ভূমিকায় কতখানি সফল হই। এবার হেরেছি মানে আমার আর জিতব না তা তো নয়, এই হার আমাদের জয়ের পথ দেখাবে। সেজন্য সাংগঠনিকভাবে আমাদের আরও শক্তিশালী হতে হবে।
এর পর বাংলার প্রসঙ্গে আসেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। বলেন, “ভবানীপুরে উপনির্বাচন হল। মমতা ব্যানার্জিকে মুখ্যমন্ত্রী থাকতে হবে। তাই একজন সিটিং এমএলএ-কে রিজাইন করিয়ে জোর করে নির্বাচন করছেন ওখানে। ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেতাতেই ভোট করাচ্ছে। শুধুমাত্র ভবানীপুরে উপনির্বাচন ঘোষণা, তারপর আমাদের নেতাদের প্রচার করতে না দেওয়ার পরও নির্বাচন কমিশনের নিষ্ক্রিয়তা তা প্রমাণ করছে বলে মত দিলীপ ঘোষের।
আরও পড়ুন: ভাতা দিয়ে রাজনীতি করতে ব্যস্ত মুখ্যমন্ত্রী, মমতার ‘ম্যানমেড’ তত্ত্ব খারিজ শুভেন্দুর
তাঁর কথায়, “তৃণমূল ক্ষমতায় এসেছে, তার দায় আমাদের। আমরা সিপিএমের মতো মানুষকে বোঝাতে পারিনি”। “টিএমসি যদি সরকারে আসে, সিপিএমের যেমন ব্যর্থতা আছে, তেমনি আমাদেরও আছে। আমরা মানুষকে সেই বিশ্বাস দিতে পারিনি যে, আমরা সরকার গঠন করতে পারি।
এর পর দিলীপ বলেন, “কিন্তু আমরাই তৃণমূল সরকারকে রাস্তায় নিয়ে যেতে পারি। মানুষ যেদিন যোগ্য মনে করবে, আমাদের সরকার আসবে। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী হবে। আর ক্ষমতার লোভে যাঁরা এখান থেকে ওখানে গেছেন, আজ হোক, কাল হোক, তাঁদের রিজাইন করতে হবে।”