ডেস্ক: একুশে ভরাডুবির পর বিজেপি টার্গেট ফিক্সড করে ফেলল। এবার মিশন ২০২৬! একুশের ভোটে শোচনীয় পরাজয় হয়েছে বিজেপির। তার প্রায় দু-মাস পর বিজেপি পর্যালোচনা বৈঠকে বসল। হেস্টিংসে বিজেপির সদর দফতরে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব হাজির হয়েছিলেন। আর ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা।
তিনি বিজেপির এই কার্যকারিণী বৈঠকে ভার্চুয়াল বক্তব্য রাখেন। নাড্ডা বলেন, বিজেপি বাংলায় স্বল্প সময়ের ব্যবধানে দারুন ফল করেছে। মাত্র ৩ জন বিধায়ক ছিল আমাদের। তা থেকে আমরা ৭৭ হয়েছি। এই বিচারে আমরা খুব ভালো ফল করেছি। তবে আমরা লক্ষ্য স্থির করেছিলাম বাংলায় পরিবর্তনেকর, তা পারিনি এবার।
জে পি নাড্ডার কথায়, বাংলা থেকে এবারের ভোটে নিঃশেষ হয়ে গিয়েছে ৩৪ বছরের শাসক বামফ্রন্ট। এমনকী কংগ্রেসও শূন্য হয়ে গিয়েছে। কিন্তু আমরা আছি। বিরোধী আসনে থেকে আমরা চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি তৃণমূলকে। আমরা এ রাজ্যে বেড়েছি। ভবিষ্যতে আমরা এ রাজ্য দখল করব, এ অঙ্গীকার থেকে আমরা সরছি না। তিনি আরও বলেন, একুশে হয়নি তো কী হয়েছে। এটা ব্যর্থতা বলে ভাববেন না, বরং এটা আমাদের সাফল্য। আমরা এবার পারিনি, পাঁচ বছর পরে আমরা জিতব।
আরও পড়ুন: সমস্ত জল্পনায় জল ঢেলে দিয়ে বিজেপির বৈঠককে অনুপস্থিত রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়
নির্বাচনে ভরাডুবি নিয়ে দিলীপ এ দিন বলেন, ‘‘মানুষ আমাদের সরকারে নয়, দায়িত্বশীল বিরোধী হিসেবে দেখতে চান। তাই বিধানসভায় বড়ো দল করে পাঠিয়েছেন। নিষ্ঠার সঙ্গে তাঁদের অধিকারের জন্য লড়াই চালিয়ে যাব, বিধানসভার অন্দরেও, বাইরেও। কোথাও কোনো খামতি হবে না।” তিনি বলেন, ‘‘বাংলায় সরকার গড়তে বিরাট লক্ষ্য নিয়ে এগিয়েছিলাম আমরা। ২০০ আসনের লক্ষ্য ছিল। তার আগে লোকসভা নির্বাচনে ২১ আসনের লক্ষ্য দেওয়া হয়েছিল। সে বার ১৮টি আসন পেয়েছিলাম।”