ডেস্ক: গোটা রাজ্যের রাজনৈতিক মহল তাকিয়েছিল রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় আজ বিজেপির রাজ্য কমিটির বৈঠকে উপস্থিত থাকেন কিনা সেই দিকে। অবশেষে সমস্ত জল্পনায় জল ঢেলে দিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। শেষ পর্যন্ত বৈঠকে তাঁকে দেখা পাওয়া গেল না, এমনকি ভার্চুয়াল উপস্থিতিও এড়ালেন রাজীব। এমন গুরুত্বপূ্ণ একটা বৈঠকে গরহাজির রাজ্য বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়।
রাজীবের অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। লিঙ্ক পাঠানো হয়েছিল। কেন এলেন না তা বলা সম্ভব নয়। এ বিষয়ে এখনও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনোও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। জানা গিয়েছে, আজকের এই বৈঠকে অরবিন্দ মেনন, অগ্নিমিত্রা পাল, তথাগত রায়ের মতো নেতৃত্ব রয়েছে।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার বৈঠক শুরুর কিছুক্ষণ পরে হেস্টিংসের কার্যালয়ে ঢোকেন সব্যসাচী দত্ত। ভোটের ফল বের হওয়ার পর তিনিও বেসুরো হয়েছিলেন। এমনকি মুকুল রায় দলত্যাগের পর তাঁরও বিজেপি ছাড়া নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। সেই জল্পনায় আপাতত জল ঢেলে বৈঠকে হাজির সব্যসাচী।
আরও পড়ুন: ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডের তৎপর ইডি,তথ্য চেয়ে ই-মেল কলকাতা পুলিশকে
রাজীবের বৈঠকে অনুপস্থিতি ঘিরে ক্ষোভ চাপা থাকছে না। দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূল থেকে বিজেপিতে নেতাদের আসার বিষয়ে সরব তথাগত রায় প্রসঙ্গটি উঠতেই আজ বললেন, “আমি আগেই বলেছিলাম যাদে তৃণমূল থেকে ভোটের মুখে দলে নেওয়া হয়েছিল, তাদের যোগ্যতা বিচার করা হয়নি। এখন তৃণমূলে ফেরার সুযোগ না পেয়ে যাঁরা নিস্ক্রিয় হয়ে বসে আছেন।”
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বকে জোড়া চিঠি পাঠিয়েছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তীকে মুখবন্ধ খামে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন তিনি। আর একটি খোলা চিঠিও তিনি পাঠিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। মুখবন্ধ খামে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় কী লিখেছেন, তা নিয়ে মুখ খুলতে চায়নি কোনও পক্ষই। তবে জানা গিয়েছিল, ডোমজুড়ের ঘরছাড়া বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের নাম ও ঠিকানার উল্লেখ করে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে খোলা চিঠি দিয়েছেন রাজীব। রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়ে যায়, রাজীব তৃণমূলে জায়গা করতে না পেরেই এবার চাইছেন বিজেপিতে সক্রিয়ভাবে নতুন ইনিংস শুরু করতে। কিন্তু রাজীব বৈঠকে না এসে নিজেই সেই জল্পনায় আজ জল ঢেলে দিলেন।