পরীক্ষার ২৬ দিনের মাথায় ফলপ্রকাশ রাজ্য জয়েন্টের, একই স্কুল থেকে প্রথম ও দ্বিতীয়

কলকাতা: পরীক্ষা হওয়ার ২৬ দিনের মাথায় ফল প্রকাশিত হল রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্সের। এ বারের জয়েন্টে প্রথম হলেন মহম্মদ সাহিল আখতার। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন সোহম দাস। প্রথম ও দ্বিতীয়, দু’জনেই দিল্লি পাবলিক স্কুল, রুবি পার্কের ছাত্র।

শুক্রবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ সাংবাদিক বৈঠকে ফল প্রকাশ করেন রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের চেয়ারম্যান মলয়েন্দু সাহা। এ বারে পাশের হার ৯৯.৪ শতাংশ।

চলতি বছরে রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার জন্য নাম নথিভুক্ত করেছিলেন ১ লক্ষ ২৪ হাজার ৯১৯ জন। ৩০ এপ্রিল পরীক্ষায় বসেছিলেন ৯৭ হাজার ৫২৪ জন। উত্তীর্ণ হয়েছেন ৯৬ হাজার ৯১৪ জন। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের ৬৯,৯৮১ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন (৪৭,৭৩৬ জন ছাত্র, ২২,১৮৪ জন ছাত্র)। ভিনরাজ্যের ২৭,৩৫৩ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন (ছাত্র ২২,৯৬৫, ছাত্রী ৪,৩৮৭ এবং তৃতীয় লিঙ্গ একজন)।

২০২৩ সালে জয়েন্টে তৃতীয় হয়েছেন সারা মুখোপাধ্যায়। তিনি বাঁকুড়া বঙ্গ বিদ্যালয়ের পড়ুয়া। চতুর্থ হয়েছেন সৌহার্দ্য দণ্ডপাঠ। মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলের ছাত্র। পঞ্চম স্থানে রয়েছেন দুর্গাপুর হেমশিলা মডেল স্কুলের ছাত্র অয়ন গোস্বামী। ষষ্ঠ স্থানে রয়েছেন সোদপুর নারায়না স্কুলের অরিত্র আম্বুদ দত্ত। সপ্তম স্থান অধিকার করেছেন কোটা রাজস্থানের মা ভারতী সিনিয়র সেকেন্ডারি স্কুলের কিন্তন সাহা। অষ্টম হয়েছেম সাগ্নিক নন্দী। বাঁকুড়া জেলা স্কুলের ছাত্র। নবম স্থানে রয়েছেন রাজস্থানের দিশা ডেলফি পাবলিক স্কুলের ছাত্র রক্তিম কুণ্ডু। জয়েন্টে দশম শ্রীরাজ চন্দ্র। কাটোয়ার হোলি অ্যাঞ্জেল স্কুলের ছাত্র তিনি।

রাজ্যে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের আসনসংখ্যা প্রায় ৩৪ হাজার। ৩০ জুনের পর শুরু হবে কাউন্সেলিং। কাউন্সিলিং প্রক্রিয়া সম্পর্কে সাংবাদিক বৈঠকে চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘কাউন্সেলিংয়ের প্রক্রিয়ায় সরলীকরণ করা হচ্ছে। অন্য বারের মতো তিনটি ধাপে হবে কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া- অ্যালটমেন্ট, আপগ্রেডেশন এবং মপ-আপ রাউন্ড। কাউন্সেলিংয়ের বিষয়ে সমস্ত তথ্য দ্রুতই বুকলেটের মাধ্যমে ওয়েবসাইটে দিয়ে দেওয়া হবে।’’

Related posts

বিকেল ৫টা পর্যন্ত বাংলার সাত লোকসভা কেন্দ্রে ভোট পড়ল ৭৩ শতাংশ

হুগলির ধনিয়াখালিতে বিক্ষোভের মুখে লকেট, অশান্ত পরিস্থিতি

ভোট চলাকালীন ঝেঁপে বৃষ্টি, ছাতা মাথায় ভিড় ভোটারদের