ওয়েটিং টিকিট আপনা-আপনি উচ্চতর শ্রেণিতে আপগ্রেড হতে পারে! যেই শ্রেণিতে টিকিট বুক করা হয়েছে সেখানে যদি আসন না থাকে কিন্তু তার থেকে উন্নত শ্রেণিতে ফাঁকা আসন থাকে তা হলে এমনটা ঘটতে পারে বলে জানা গিয়েছে ভারতীয় রেল বোর্ডের ১৩ মে ২০২৫-এর বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী। তবে এই আপগ্রেড সর্বোচ্চ দুটি স্তর পর্যন্তই সীমিত থাকবে।
এই নিয়ম ২০০৬ সাল থেকে চালু থাকলেও এবার রেল কর্তৃপক্ষ নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন কোন শ্রেণি থেকে কোন শ্রেণিতে আপগ্রেড হতে পারে। স্লিপার ক্লাসে ২এস থেকে শুরু করে ৩ই, ৩এ, ২এ পর্যন্ত আপগ্রেড হতে পারে এবং শুধুমাত্র ২এ টিকিটধারীরাই ১এ শ্রেণিতে যেতে পারবেন। বসার ব্যবস্থায় ২এস থেকে ভিএস, সিসি, ইসি, ইভি ও ইএ পর্যন্ত আপগ্রেডের পথ নির্ধারিত হয়েছে। তবে সিসি টিকিটধারীরাই শুধুমাত্র ইসি, ইভি বা ইএ-তে আপগ্রেড হতে পারবেন।
এই সুবিধা শুধু সম্পূর্ণ ভাড়ার টিকিটধারীদের জন্য প্রযোজ্য এবং আপগ্রেডিং স্লিপিং এবং সিটিং শ্রেণিতে আলাদাভাবে হবে। প্রবীণ নাগরিক ও নিচের বার্থ চাওয়া যাত্রীরাও এই সুবিধা পাবেন। তাঁদের বার্থ পরিবর্তনের সম্ভাবনা থাকবে। সফটওয়্যারে এই পরিবর্তন প্রতিফলিত করার জন্য রেল তথ্য পরিষেবা কেন্দ্রকে (CRIS) প্রয়োজনীয় আপডেট করতে বলা হয়েছে।
এ বছরের মে মাসের শুরুতে রেল কর্তৃপক্ষ একটি নতুন নিয়ম চালু করেছেন, যেখানে ওয়েটিং টিকিটধারীরা সংরক্ষিত কোচে উঠতে পারবেন না। এই নিয়ম যাত্রী নিরাপত্তা ও স্বাচ্ছন্দ্য বজায় রাখতে চালু হয়েছে। তবে জেনারেল কোচে তাঁরা উঠতে পারবেন। কেউ নিয়ম ভাঙলে এসি কোচে ৪৪০ টাকা ও নন-এসি কোচে ২৫০ টাকা জরিমানা এবং সেই সঙ্গে বোর্ডিং স্টেশন থেকে নামানো পর্যন্ত ভাড়া দিতে হবে।
একটি পিএনআর-এ যদি চারজনের টিকিট বুক হয় এবং তার মধ্যে দুইটি কনফার্ম হয়, তাহলে বাকি দুইজন কনফার্ম টিকিটধারীদের সঙ্গে বার্থ শেয়ার করতে পারবেন। রেল কর্তৃপক্ষ অগ্রিম সংরক্ষণের সময়সীমা ১২০ দিন থেকে কমিয়ে ৬০ দিন করেছেন। পাশাপাশি আইআরসিটিসি-র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এখন থেকে অনলাইন টিকিট বুকিংয়ের জন্য ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড (OTP) যাচাইকরণ বাধ্যতামূলক।