নয়াদিল্লি: সংসদের শীতকালীন অধিবেশন ৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে এবং ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। তার আগে একটি সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা হয়েছে শনিবার (২ ডিসেম্বর)।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী জানিয়েছিলেন, এই ১৯ দিনের মধ্যে ১৫টি সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্স (আগের টুইটার)-এর একটি পোস্টে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী লেখেন, “সংসদের শীতকালীন অধিবেশন, ৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে এবং ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। ১৯ দিনে ১৫টি সভা হবে”।
বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোট। তার আগে দ্বিতীয় নরেন্দ্র মোদী সরকারের এটাই শেষ শীতকালীন অধিবেশন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, “অমৃত কালের মধ্যে অধিবেশন চলাকালীন আইনী কাজকর্ম এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য উন্মুখ সকলেই”।
জানা গিয়েছে, অধিবেশন চলাকালীন লোকসভায় তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে “টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন” অভিযোগের বিষয়ে এথিক্স কমিটির রিপোর্ট পেশ করা হবে। কমিটি তাঁর সাংসদপদ খারিজের সুপারিশ করেছে। তবে ওই প্রস্তাব কার্যকর করার আগে সংসদকে প্রতিবেদনটি গ্রহণ করতে হবে।
এ ছাড়াও, তিনটি মূল বিল অধিবেশন চলাকালীন বিবেচনার জন্য তোলা হতে পারে। যা আইপিসি, সিআরপিসি এবং এভিডেন্স অ্যাক্টকে প্রতিস্থাপন করার লক্ষ্যে আনতে চলেছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার। জানা গিয়েছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের স্ট্যান্ডিং কমিটি ইতিমধ্যে ওই তিনটি রিপোর্ট গ্রহণ করেছে।
পাশাপাশি মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং কমিশনার নিয়োগ সংক্রান্ত একটি বিলও পেশ করতে পারে মোদী সরকার। সংসদের বিশেষ অধিবেশনে ওই বিল পেশের কথা ছিল। সেসময় বিরোধীদের তীব্র আপত্তিতে পেশ করা যায়নি ওই বিল।
উল্লেখযোগ্য ভাবে, ৩ ডিসেম্বর, পাঁচটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হবে (রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়, মিজোরাম এবং তেলঙ্গনা)। বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল অধিবেশনের উপর একটি বড় প্রভাব ফেলবেই। বিশেষত, সরকার যে মূল বিলগুলি পাশ করতে আগ্রহী, সেগুলি নিয়ে ব্যাপক বিতর্কের অবকাশ থাকছেই।