ডেস্ক: বাংলা সাহিত্য জগতে গভীর শোকের ছায়া। কবি শঙ্খ ঘোষের জীবনাবসান। মৃত্যুকালীন বয়স হয়েছিল ৯০। সম্প্রতি তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। হোম আইসোলেশনেই চলছিল চিকিৎসা। আজ সকালে বাড়িতেই জীবনাবসান হয় শঙ্খ ঘোষের।
শঙ্খ ঘোষের মৃত্যুতে বাংলা কবিতায় এক যুগাবসান ঘটল। দীর্ঘ কর্মজীবনে শঙ্খ ঘোষ দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্বভারতীর মতো প্রতিষ্ঠানে অধ্যাপনা করেছেন। তাঁর লেখার মাধ্যমেই তিনি বারবার সতর্ক করেছেন রাজনৈতিক দলগুলোকে। বছর দুয়েক আগে ‘মাটি’ নামের একটি কবিতায় কেন্দ্রীয় সরকারের নাগরিকতা সংশোধন আইনের বিরুদ্ধেও গর্জে উঠেছিল তাঁর কলম। রাজ্যের পরিবর্তনের সময়েও অন্যতম প্রধান মুখ ছিলেন তিনি। কিন্তু বারবার চোখে আঙুল দিয়ে ভুলও দেখিয়েছেন। বাংলা কবিতার জগতে তাঁর অবদান অনেক। ‘
কবির মৃত্যুতে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্য়ায়ের মতে, শঙ্খ ঘোষের মৃত্যুতে যেন মনে হচ্ছে, মাথার ওপর ছাদ সরে গেল। শীর্ষেন্দু বলেন, শঙ্খদার দুটি জিনিস শেষ দিন পর্যন্ত সতেজ ছিল। একটি তাঁর স্মৃতি ও দ্বিতীয় তাঁর মনোবল।
গোস্বামী বলেন, এক মহা বটবৃক্ষের পতন হল। তিনি ছিলেন জাতির বিবেক। জয় গোস্বামী জানান, তিনি অসহায় বোধ করছেন আজ। বললেন, অসহায় ও শোকগ্রস্ত বোধ করছি। ৪৫ বছরের যোগাযোগ শঙ্খদার সঙ্গে। জয় গোস্বামী বলেন, শঙ্খ ঘোষের কবিতা থেকে অনেকে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। বললেন, আমার কী হারাল আমিই জানি। বাংলা সাহিত্য জগৎ কী হারাল, সেটাও বাংলা সাহিত্যই জানে।
আরও পড়ুন: শঙ্খ ঘোষের প্রয়াণে শোক প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
নাট্যব্যক্তিত্ব ব্রাত্য বসু বলেন, একটা যুগের অবসান হল। আমি তাঁর ছাত্র ছিলাম। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর কাছে পড়েছি, ক্লাস করেছি। তিনি আমার শিক্ষক। তাঁর শান্ত কণ্ঠস্বর, মৃদু ভাষণ তাঁর ব্যক্তিত্ব। তাঁর কবিতার মধ্যে দিয়ে আমাদের কৈশোর, যৌবন কেটেছে। তিনি আমাদের মধ্যে ছিলেন, আছেন ও থাকবেন।
নাট্যব্যক্তিত্ব কৌশিক সেন বলেন, বিরাট বড় ক্ষতি হল। শঙ্খবাবুর চলে যাওয়াটা সত্যিই বড় ক্ষতি। আক্ষরিক অর্থেই অপূরণীয় ক্ষতি।