ডেস্ক: ভোটের মুখে বড় চমক। তৃণমূলে যোগ দিলেন বাজপেয়ী জমানার অর্থমন্ত্রী যশবন্ত সিনহা। আজই সুদীপ-ডেরেক-সুব্রতদের উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগ দিলেন তিনি।
এদিন সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, আমাদের দলে একজন মমতা যেমন আছেন, তেমন যশবন্ত সিন্হা এলেন। তৃণমূলে যোগ দিলেন যশবন্ত সিনহা। আমরা গর্বিত। তিনি শুধু বিহারের মানুষ না। তৃণমূল কংগ্রেসের পথ প্রদর্শক হিসেবে থাকবেন। জ্ঞান-বুদ্ধির পাশাপাশি ওর বিনম্রতা আমাদের ভাল লাগে। আজ গৌরবময় দিনের একটি।
তাঁকে স্বাগত জানিয়ে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, যতবার কঠিন পরিস্থিতি এসেছে ততবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। আজও ৪৫ মিনিট কথা হয়েছে তাঁদের। যশবন্ত সিনহার তৃণমূলে যোগদান ইতিবাচক হবে।
এদিন দলে যোগ দিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশে এখন গণতন্ত্র বিপন্ন। দেশ এখন অদ্ভুত পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। স্বেচ্ছাচার চালাচ্ছে মোদী সরকার। দেশের প্রায় সব প্রতিষ্ঠান এখন দুর্বল। দেশের বিচারব্যবস্থাও এখন দুর্বল। অটলজীর দল আর এখনকার বিজেপির মধ্যে আকাশপাতাল তফাত। অটলজী সবাইকে নিয়ে চলতেন, কিন্তু আজকের বিজেপি সবাইকে পদানত করতে চায়। বিজেপির একটাই লক্ষ্য ভোটে জেতা। পুরনো সহযোগীরা ছেড়ে চলে যাচ্ছে।’
আরও পড়ুন: প্রার্থী দিতে পারছে ISF, বামেদের ফিরিয়ে দিল ৪টি আসন
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের পাশাপাশি প্রতিরক্ষামন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন যশবন্ত। সামলেছেন বিদেশ মন্ত্রকও। কিন্তু বাজপেয়ী-জমানার পর থেকে দল নিয়ে অভিযোগ বাড়তে শুরু করে প্রবীণ এই নেতার। বিভিন্ন সময় নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহদের সমালোচনা শোনা যায় তাঁর গলায়।
এর আগে একাধিকবার বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। শুভেন্দু অধিকারী-সহ তৃণমূলের নেতাদের বিজেপি ভাঙিয়ে আনছে। তিনি লিখেছিলেন, ‘‘নির্বাচনের আগে পশ্চিমবঙ্গে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকে নেমেছে বিজেপি।