রবিবার রাত ৮টায় এ বারের বিশ্বকাপ ফাইনালে আর্জেন্তিনার মুখোমুখি হবে ফ্রান্স। তার আগে জেনে নেওয়া যাক, দু’দেশ যে সব রেকর্ডের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে, এমন চমকপ্রদ কিছু তথ্য।
১. পর পর দু’ বার বিশ্বকাপ
৩৬ বছর আগে শেষ বার বিশ্বকাপ জিতেছিল আর্জেন্তিনা। আর টানা দ্বিতীয় বার বিশ্বকাপ জয়ের কৃতিত্ব অর্জনের জন্য মরিয়া ফ্রান্স। বিশ্বকাপ ফুটবলের ৯২ বছরের ইতিহাসে পর পর দু’ বার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ঘটনা মাত্র দু’ বারই ঘটেছে। ১৯৩৪ ও ১৯৩৮ সালে ইতালি এবং ১৯৫৮ ও ১৯৬২ সালে ব্রাজিল।
২. ইউরোপের আধিপত্যে ছেদ
এর আগের দু’বার আর্জেন্তিনার বিশ্বকাপ জয়ের নায়করা যথাক্রমে ড্যানিয়েল পাসেরেলা এবং দিয়াগো মারাদোনা। এ বার লিওনেল মেসি নিজের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের জন্য মুখিয়ে রয়েছেন। এতে ভেঙে যেতে পারে বিশ্বকাপে ইউরোপের আধিপত্য। শেষ চারটি বিশ্বকাপ জিতেছিল ইউরোপের চার দেশ, যথাক্রমে ইতালি (২০০৬), স্পেন (২০১০), জার্মানি (২০১৪) এবং ফ্রান্স (২০১৮)।
৩. অনুপাত হতে পারে ৩:৩
আর্জেন্তিনার ফাইনালে জয় এবং হারের অনুপাত এখন ২:৩। কারণ, ১৯৭৮ এবং ১৯৮৬-তে জয় পেলেও ফাইনালে হারতে হয়েছিল ১৯৩০, ১৯৯০ এবং ২০১৪-য়। এ বার জিতলে সেই অনুপাত হতে পারে ৩:৩।
৪. যে সব রেকর্ডের সামনে মেসি
টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে গোল্ডেন বলের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী লিওনেল মেসি। ২০১৪ সালের ফাইনালে জার্মানির কাছে হেরেছিল আর্জেন্তিনা। তবে গোল্ডেন বলের মতো আকর্ষণীয় পুরস্কার জিতেছিলেন তিনিই। ফলে এ বার যদি তিনি এই পুরস্কার জিতে নেন, তা হলে দু’বার গোল্ডেন বল জয়ী ফুটবলার হবেন মেসি। ১৯৮২ সালে প্রথম বার এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল, যেটি জিতে নিয়েছিলেন ইতালির পাওলো রোজি। ফাইনালে আর মাত্র একটি গোল করলে, ২০১৪ এবং এ বার মিলিয়ে ১২টি গোলের মালিক হয়ে যাবেন তিনি। ছুঁয়ে ফেলবেন পেলেকে। দু’টি গোল করলে জাস্ট ফন্টেইনকে ছুঁয়ে ফেলবেন। আর হ্যাট্রিক করলে জার্মানির গার্ড মুলারকে ছুঁয়ে ফেলবেন। এখনও পর্যন্ত বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোলদাতা জার্মানির মিরোস্লাভ ক্লোজে (১৬টি)। তাঁর পরের স্থানে রয়েছেন ব্রাজিলের রোনাল্ডো (১৫টি)।
৫. শেষ ৬০ বছরে
ফ্রান্স যদি ও বারও বিশ্বকাপ জিতে যায়, তা হলে শেষ ৬০ বছরে তারাই হবে প্রথম দেশ, যারা পর পর দু’বার এই শিরোপা নিজেদের কাছে রাখতে সক্ষম হবে। এর আগে ১৯৫৮ এবং ১৯৬২ সালে পর পর দু’বার বিশ্বকাপ জিতে নিয়েছিল ব্রাজিল। অন্য দিকে, বিশ্বকাপের ইতিহাসে হবে তৃতীয় দেশ, যারা পর পর দু’বার শিরোপা ধরে রাখল। ব্রাজিলের আগে ১৯৩৪ এবং ১৯৩৮-এ পর পর দু’বার বিশ্বকাপ জয়ী দেশ ইতালি।
৬. যে সব রেকর্ডের সামনে এমবাপ্পে
মেসি এবং এমবাপ্পে, দু’জনেই এ বারের টুর্নামেন্টে ৫টি করে গোল করেছেন। ফাইনালে যদি মেসি আর একটিও গোল করতে না পারেন, এবং আলভারেজ এবং জিহুও গোল না করেন, অন্য দিকে এমবাপ্পে একটি মাত্র গোল করেন, তা হলে গোল্ডেন বুট পেয়ে যাবেন তিনি। এমবাপ্পে মাত্র একটি গোল করলে (৬) বিশ্বকাপের একটি মাত্র করেন, তা হলে ২৪ বছরের কম বয়সি হিসেবে তিনি ছুঁয়ে ফেলবেন পেলে (ব্রাজিল), মারিও কেম্পেস (আর্জেন্তিনা) এবং জেমস রদরিগেজকে (কলম্বিয়া)। আর যদি দু’টি গোল করেন, তা হলে একটি বিশ্বকাপে এই বয়সে সর্বাধিক গোলদাতার শিরোপা অর্জন করবেন। বলে রাখা ভালো, আগামী ২৪ ডিসেম্বর ২৪-এ পা দেবেন এমবাপ্পে।
৭. যে রেকর্ডের সামনে দু’দেশ
ফাইনালে ফ্রান্সের জয় মানে, এই নিয়ে চতুর্থবার রানার্স-আপ হবে আর্জেন্তিনা। এর আগে ১৯৩০, ১৯৯০ এবং ২০১৪ সালে তারা দ্বিতীয় হয়েছিল। আর আর্জেন্তিনার জয়ী হওয়া মানে, এই নিয়ে দ্বিতীয় বার রানার্স-আপ হবে ফ্রান্স। এর আগে ২০০৬ সালের বিশ্বকাপে ইতালির বিপক্ষে ১-১ ড্র করার পর পেনাল্টিতে ৩-৫ গোলে হেরেছিল ফ্রান্স।