ডেস্ক: গত ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লজ্জার হারের পর বিরাটরা ঘুরে দাঁড়াতে পারলেন না। নিউজিল্যান্ডের কাছেও অসহায় আত্মসমর্পণ করল বিরাটবাহিনী। আর সেই সঙ্গে আরও কঠিন হয়ে গেল শেষ চারে পৌঁছনোর রাস্তা। পরিস্থিতি এমন যে বাকি ম্যাচগুলিতে জিতে মুখরক্ষা করতে পারলে হয়!
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভরাডুবির পর আজ দলে দুটো পরিবর্তন আনে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। সূর্যকুমার যাদবকে সরিয়ে ঈশান কিশান আর ভুবনেশ্বর কুমারের বদলে শার্দূল ঠাকুরকে খেলানো হয়। ব্যাটিং অর্ডারেও বদল আনে থিঙ্ক ট্যাঙ্ক। ওপেনিংয়ে রাহুলের সঙ্গে পাঠানো হয় ঈশান কিশানকে। তবে তাতেও ব্যাটিং বিপর্যয়ের ছবি পাল্টায়নি।
রবিবার টসে জিতে আগে বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। তথাকথিত তারকাখচিত ভারতীয় ব্যাটিং লাইন টিকতেই পারছে না। রোহিত, রাহুলরা ব্যর্থ। এ দিন শুরুতে ওপেনিং করতে নামেন ইশান কিষান ও কেএল রাহুল। ৮ বলে ৪ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরলেন কিষান। এরপর ফেরেন কেএল রাহুল। তাঁর সংগ্রহ ১৬ বলে ১৮ রান। রোহিত শর্মাও ক্রিজে টিকতে পারলেন না। ১৪ বলে করলেন ১৪। হাল ধরতে পারলেন না অধিনায়ক বিরাট কোহলিও। ১৭ বল টুকটুক করে এল ৯।
বোল্ট ঝড় তছনছ করে দিল ভারতীয় ব্যাটিং অর্ডারকে। মাঠে বল গড়ানোর আগেই হুঙ্কার দিয়েছিলেন, পাকিস্তানের শাহিন আফ্রিদির মতোই ভারতের বিরুদ্ধে জ্বলে উঠবেন। শুধু মুখে নয়, কাজেও তা করে দেখালেন তিনি। মাত্র ১১০ রানে শেষ কোহলিদের ইনিংস। তিনটি উইকেট বোল্টের ঝুলিতে।
বোলিং করতে নেমে কিউয়িদের বেশিক্ষণ আটকেও রাখতে পারেননি বুমরা-সামিরা। ব্যক্তিগত ২০ রানে বুমরার বলে শার্দূল ঠাকুরের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন মার্টিন গাপ্টিল। তবে ড্যারিল মিচেল আর কেন উইলিয়ামসনকে বেগই দিতে পারেননি জাডেজা, বরুণ চক্রবর্তীরা। বরং ভারতীয় বোলারদের নিয়ে কার্যত ছেলেখেলা করেন মিচেল, উইলিয়ামসনরা। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একটাও উইকেট ফেলতে পারেননি সামিরা। আর আজ নিউজিল্যান্ড জিতল ৮ উইকেটে। ৩৫ বলে ৪৯ রানের দুরন্ত ইনিংস মিচেলের। ইনিংসে সাজানো ৩টে ছয় আর ৪টে চার। অপরাজিত থাকলেন উইলিয়ামসন। ১৪. ওভারেই লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে যায় নিউজিল্যান্ড। গত আঠারো বছরের কোনও আইসিসি (ICC) টুর্নামেন্টে ভারত নিউজিল্যান্ডকে হারাতে পারেনি। এদিনও সেই ট্র্যাডিশনই বজায় রইল।