ওয়েবডেস্কঃ ডোপিংয়ের অপরাধে দুই বছরের জন্য নির্বাসিত হলেন ইতিহাস সৃষ্টিকারী ভারতের শীর্ষস্থানীয় বাস্কেটবল খেলোয়াড় সতনম সিং ভামারা। ২০১৫ সালে প্রথম ভারতীয় বাস্কেটবলার হিসেবে এনবিএ-তে যোগ দিয়ে ইতিহাস তৈরী করেছিলেন তিনি। সতনম সিংহ ভামারাকে নির্বাসিত করেছে জাতীয় ডোপিং-বিরোধী এজেন্সি-র (নাডা) শৃঙ্খলারক্ষাকারী প্যানেল। তিনি নিষিদ্ধ বস্তু হাইজেনামাইন সেবন করেছিলেন বলে জানা গেছে।
গত নভেম্বরে বেঙ্গালুরুতে আয়োজিত সাউথ এশিয়ান গেমসের প্রস্তুতি শিবিরে ডোপ পরীক্ষায় ধরা পড়েন তিনি। ডিসেম্বরে ওই প্রতিযোগিতা থেকে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে সরে দাঁড়ান। পরে জানা যায় যে তিনি ডোপ পরীক্ষায় ধরা পড়েছেন। এরপরই বিষয়টি নাডার হাতে চলে যায়। তবে কোভিড-১৯ অতিমারীর জন্য শুনানি পর্ব বিলম্বিত হয়েছিল। শৃঙ্খলারক্ষাকারী প্যানেল প্রায় বছর খানেক ধরে শুনানির পর সতনম সিং ভামারাকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। যে ওষুধ তিনি খেয়েছেন, তার গঠন ও উপাদান জানার বিষয়ে তিনি প্রয়োজনীয় সতর্কতা নেননি বলে মনে হয়েছে প্যানেলের। তবে তিনি যে ইচ্ছাকৃতভাবে ওই ওষুধ গ্রহণ করেননি, সে কথা পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে নাডার তরফে। তবে সিনিয়র অ্যাথলিট হিসেবে নাডার নিয়মকানুন মেনে চলার ক্ষেত্রে গাফিলতি ছিল সতনমের মধ্যে। এই নির্বাসন তারই শাস্তি।
২০১৯ সালের ১৯ নভেম্বর থেকে সতনমের নির্বাসন ধরা হচ্ছে। সেদিন থেকেই তিনি স্বেচ্ছায় নাডার শর্তসাপেক্ষে নির্বাসন গ্রহণ করেছিলেন। নির্বাসনের মেয়াদ শেষ হবে ২০২১ সালের ১৮ নভেম্বর। এই সময়ের মধ্যে দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পারবেন না সতনম সিং ভামারা। এই রায়ের ফলে আন্তর্জাতিক লিগে তাঁর অংশগ্রহণেও কাঁটা পড়ল।