ডেস্ক: ত্রিপুরায় তৃণমূল নেতাদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে প্ল্যাকার্ড হাতে সংসদ ভবনের বাইরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তৃণমূল সাংসদরা। আজ, সোমবার সংসদ ভবনের বাইরে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে জড় হয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন সাংসদেরা। তাঁদের হাতে রয়েছে প্ল্যাকার্ড। এদিনের বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সুখেন্দুশেখর রায়, শতাব্দী রায়-সহ অন্যান্য তৃণমূল সাংসদরা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে স্লোগান তুলছেন তাঁরা। তৃণমূল যে আবারও ত্রিপুরা যাবে, সে কথা সাফ জানানো হয়েছে ঘাসফুল শিবিরের তরফে।
এদিন সংসদের অধিবেশন শুরুর আগে ধরনার কর্মসূচি নিয়েছিলেন তৃণমূলের লোকসভা ও রাজ্যসভার সাংসদরা। ত্রিপুরায় পশ্চিমবঙ্গ থেকে যাওয়া ছাত্র-যুবদের ওপরে হামলার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে তৃণমূস। তাদের অভিযোগ ত্রিপুরায় যা হচ্ছে, তাতে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রত্যক্ষ মদত রয়েছে। এদিন তৃণমূল সাংসদদের সঙ্গে দেখা গিয়েছে, গত বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া সুনীল মণ্ডলকেও।
আরও পড়ুন: ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশেই ত্রিপুরাতে তৃণমূলের উপর হামলা চালানো হয়েছে’, বিস্ফোরক মমতা
এদিন ধরনার সময় লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, ত্রিপুরায় গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে। গায়ের জোরে সব কিছু করার চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রথমে তৃণমূলের নেতাদের বেরোতে বাধা দিয়ে পরে তাঁদের গ্রেফতার করে মহামারী আইন দেওয়া হয়।
সুখেন্দু শেখর রায় বলেন, ‘ভারতীয় হয়ে ত্রিপুরায় যেতে পারব না, ত্রিপুরায় বিজেপি ছাড়া অন্য কোনও দল কাজ করতে পারবে না, এটা ঠিক নয়। তাঁর দাবি, দেশ জুড়ে যে ফ্যাসিবাদের চেহারা সামনে আসছে, তারই মহড়া হল ত্রিপুরায়।
গতকাল, তৃণমূল নেতাদের গ্রেফতার করার পরই তড়িঘড়ি আগরতলায় ছুটে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দীর্ঘক্ষণ তাঁদের জামিনের জন্য থানায় বসেছিলেন অভিষেক সহ তৃণমূল নেতৃত্ব। পরে জামিন পাওয়ার পর রাতে কলকাতায় ফেরেন তৃণমূলের তিন যুব নেতা-নেত্রী। চিকিৎসার জন্য তাঁদের এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ড ভর্তি করা হয়। আজ তাঁদের দেখতে হাসপাতালে যান তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।