দারুণ অগ্নিবাণেরে…নব হরষে নববর্ষের অভিনন্দন, শুভেচ্ছা আর ভালবাসা

পঙ্কজ চট্টোপাধ্যায়

বাংলা ও বাঙালির উঠোন জুড়ে,ঘরের দালান জুড়ে..আবার চলে এল আজ নববর্ষের পয়লা বৈশাখ, ১৪৩০।

চারিদিকে ৪০°/৪১°/৪২° ডিগ্রি গরমে চৈত্রের শেষ থেকেই বাঙালির প্রাণান্তকর, নাজেহাল অবস্থা। তৃষ্ণার শান্তি খুঁজে বেড়াচ্ছে,মানুষ, প্রাণীকুল। তবু তারই মধ্যে চিত্রা নক্ষত্রের বিদায় শেষে মানে চৈত্রের শেষে আজ শুভ আগমন বার্তা নিয়ে এলো বিশাখা নক্ষত্র… পয়লা বৈশাখের এই প্রচণ্ড দারুণ অগ্নিস্নাত আবহে। এলো ১৪৩০ এর বাঙালির নতুন বছর।

রবীন্দ্রনাথ এক জায়গাতে লিখেছিলেন,”যদিও আমি গ্রীষ্মের আবাহনে অনেক গান লিখেছি,তবু্ও গ্রীষ্মের এই দাবদাহ দেখে মাঝে মাঝে মনে হয় কেন এদেশে জন্মালাম। আবার যখন প্রচণ্ড দাবদাহের পরে অনেক অপেক্ষায় থাকা শান্তিবারি বৃষ্টির ধারা ঝরে পড়ে আমার আঙিনায়, আমার উঠোনে, আমাদের সকলের জীবনে, তখন আমার সারা শরীর সেই জলধারায় শান্তিস্নাত হয়ে নবপল্লবিত হয়ে ওঠে, তখন জীবনদেবতাকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে প্রনাম করে বলি,এদেশে না জন্মালে,প্রকৃতির রূপকথার এমন রূপমহিমা জানতেই পারতুম না…,তাই এই ঠিক আছে, এই বেশ ভালো আছি…”।

আসুন আজকের এই দিনে দারুন দাবদাহের ঘামে ভেজা,অস্বস্তিকর, ক্লান্ত শরীর নিয়েও আমরা আমাদের সাধ্যমতো ১৪৩০ বঙ্গাব্দকে অভিনন্দিত করি। আজ সমস্ত বাংলার এবং বাঙালির পরমোৎসব।

সকলে ভালো থাকুন, সকলে পরস্পরকে ভালোবেসে আপন করে নিন।আজ সৌহার্দ্য, সম্প্রীতির দিন। সকলের পাশে দাঁড়িয়ে সৌজন্য বজায় রাখার দিন।

সকলের জন্য রইল আজ বাংলা নববর্ষের আন্তরিক অভিনন্দন শুভেচ্ছা আর ভালবাসা। সকলে সবান্ধবে, সপরিবারে ভালো থাকবেন, এই কামনা করি।

Related posts

আমাদের দেশ, আমাদের দ্বেষ-বিদ্বেষ এবং রবীন্দ্রনাথ

কিন্তু মৃত্যু যে ভয়ংকর, সে-দেহে তাহার কোন প্রমাণ ছিল না

২৭ শে এপ্রিল মানে জাগা, জেগে থাকা, জাগানো…