প্রথম পাতা প্রবন্ধ সকলের বিপদে পাশে থাকব, বেঁচে থাকার লড়াইয়ে এই হোক আমাদের অঙ্গীকার

সকলের বিপদে পাশে থাকব, বেঁচে থাকার লড়াইয়ে এই হোক আমাদের অঙ্গীকার

86 views
A+A-
Reset

পঙ্কজ চট্টোপাধ্যায়

জীব জগতের শুরু থেকেই জীবনের বা প্রাণের বেঁচে থাকার লড়াই করতে হয়েছে সব সময়ে। তার অস্তিত্ব রক্ষায়,খাদ্যাণ্বেষনে, প্রকৃতির সাথে লড়াই করে,ইত্যাদি ইত্যাদি, বিভিন্ন প্রয়োজনে।

তাই বলা যায় জীবের বা প্রানীর বেঁচে থাকার জন্য প্রাত্যহিক জীবনে প্রাথমিকভাবে ৫টি জিনিসের অবশ্যই প্রয়োজন, আর তা হোল ১/ খাবার,পানীয়, ২/ বাসস্থান, ৩/জামা,কাপড় পোশাক পরিচ্ছদ, ৪/ স্বাস্থ্যসেবা, চিকিৎসা ৫/ শিক্ষা,সংস্কৃতি কর্ম…।

প্রাণী জগতে একমাত্র মানুষ ছাড়া বাকি অন্যান্য প্রানীকুল এই প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো বিনাখরিচে,বা বলা যায় প্রাকৃতিকভাবে তারা সংগ্রহ করে বিনা পয়সায়। কিন্তু মানুষকে এই ৫টা fundamental requirement and rights-কে কিন্তু পয়সা দিয়ে কিনতে হয় তার প্রয়োজনে।

এখানে উল্লেখ্য যে সবচেয়ে আবশ্যিক প্রয়োজন হোল স্বাস্থ্যসেবা এবং চিকিৎসা। কারন শরীর থাকলেই অসুখ থাকবেই,এবং পাশাপাশি এটাও আমরা জানি যে স্বাস্থ্যই মানুষের সম্পদ। স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন:.. “money loss is nothing loss,health loss is something loss,but character loss is everything loss…”। যুগে যুগে মানুষের সভ্যতায় মানুষকে লড়াই করতে হয়েছে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অসুখের সাথে,মহামারীর সাথে,এছাড়াও রয়েছে প্রাকৃতিক দূষনের ফলস্বরূপ নানা ধরনের শারীরিক এবং মানসিক অসুস্থতা।

এইসব স্বাস্থ্যভিত্তিক সমস্যার কথা এবং অতীত ইতিহাসকে মাথায় রেখেই ১৯৪৮ সালের ৭ এপ্রিল (৭৫ বছর আগে) সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO//world health organisation) প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ২০২৩ সাল সেই সংস্থার ৭৫ তম বার্ষিকী। সারা বিশ্বের ১৯৮টি দেশের মানুষের স্বাস্থ্য এবং তার জন্য বিভিন্ন রকমের ভাবনা চিন্তা পরিকল্পনা এবং বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জীবানু,ভাইরাস ইত্যাদি গুলিকে নিয়ে নিরন্তর গবেষণা আর তার ফলাফল সারা বিশ্বের মানুষের স্বাস্থ্যের কল্যানে ব্যবহার করাই হোল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাজ।

সম্প্রতি করোনা ভাইরাসের মহামারীতে,তারপরে ঠিক এই সময়ে এডিনো ভাইরাসের প্রকোপ থেকে মানুষের স্বাস্থ্যকে রক্ষার জন্য বিভিন্ন সময়ে ইদানিংকালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাজ আমরা দেখেছি।বিশ্বের ১৯৮টি দেশেই তার রূপায়ণ আমরা দেখতে পেয়েছি।

১৯৫০ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আজকের দিনটিকে (অর্থাৎ ৭ই এপ্রিল তারিখটিকে) আন্তর্জাতিক বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস হিসাবে ঘোষনা করে,এবং সেইমতো সারা পৃথিবীর মানুষ সহ প্রতিটি প্রানীর স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়ানো, স্বাস্থ্যকে সুরক্ষা করার জন্য, সুস্থ রাখার জন্য নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করেন।

তাই আমাদের সকলের অঙ্গীকার হোক… আমাদের সকলের সুস্থতা,আমাদের স্বাস্থ্য সচেতনতা, সকলের জন্য স্বাস্থ্য পরিষেবার যথাযথ তাৎক্ষণিক প্রয়োগ ইত্যাদি ইত্যাদি।

সকলে ভালো থাকুন সকলের পাশে থাকুন তার শরীর খারাপের সময়ে, প্রয়োজনীয় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন অসুস্থ অসহায় মানুষের দিকে, এই হোক আন্তর্জাতিক বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের শপথ।

আরও খবর

মন্তব্য করুন

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

সম্পাদকের পছন্দ

টাটকা খবর

©2023 newsonly24. All rights reserved.