পুজোয় মন খুলে পেট পুজো করুন

ডেস্ক: পুজো মানেই খাওয়া দাওয়া আর বন্ধুদের সঙ্গে দেদার আড্ডা। আর এই সময়ে ভুরি ভোজের জন্যে বেশির ভাগ মানুষকে বাইরের খাবারের উপর নির্ভর করতে হয়। পুজোতে শুধু যে খাওয়া-দাওয়া তাই নয় পুজো মানেই ডায়েট ভুলে খাওয়া। পাঁচ দিনের এই উৎসবে মিশে থাকে একরাশ ইমোশন ও নস্টালজিয়া। আর এর সঙ্গে মিলে মিশে যায় কলকাতার খাবার। যার মধ্যে প্রথমেই আসে বাঙালির প্রিয় মাছ ভাত। এই উৎসবের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল পুজোর ভোগ, অর্থাৎ খিচুড়ি। যার স্বাদ এক এক জায়গায় এক এক রকম। সেই সঙ্গে তো কষা মাংস, কাঠি রোল, ফুচকার এসমস্ত রয়েছেই। এগুলির স্বাদ যেন কোনও দিনও ফুরোবে না।


রোল: সস্তায় পুষ্টিকর বলতে যা বোঝায় এগরোল একেবারেই সেটা। ডিম আর পরোটা সহযোগে তৈরি এই এগরোল খেলে পেট ভরে যায়। পুজোতে এই এগরোলের চাহিদা থাকে প্রায় সর্বত্র। শুধু এগরোলই নয় এছাড়াও আছে মটন রোল, চিকেন রোল, পনির রোল, কিমা রোল, কাবাব রোল এছাড়াও আরও অনেক রকমের রোল আছে। পছন্দ মতো একটা রোল বেছে নিন আর পুজোর ভুরি ভোজটা করে নিতেই পারেন এই রোল দিয়েই। 


মোমো: রাস্তার সব জায়গাতেই কম বেশি মোমো পাওয়া যায়। মোমো পছন্দ করেন অনেকেই। যদি আপনিও সেই দলেই থাকেন তবে পুজোতে খেয়ে নিতেই পারেন মোমো। যদি আপনি স্বাস্থ্য সচেতন হন তবে বেছে নিতেই পারেন মোমো। 


 চাট: যদি চটপটা কিছু পছন্দ হয় তবে খেতেই পারেন পাপড়ি চাট। টক, ঝাল, মিষ্টি সব স্বাদ এক সঙ্গে পেতে পুজোর খাবারের লিস্টে রাখতেই হবে পাপড়ি চাট। এই খাবারটি বেশ লোভনীয় আর সেই সঙ্গে খেতেও বেশ ভালো। 


ফুচকা: ফুচকা এমন একটা খাবার যা সবারই বেশ পছন্দের। সারা বছরই ফুচকার একটা চাহিদা থাকেই আর পুজোর সময়তো কথা হবে না। পুজোর সময় অনেক জায়গাতেই দেখা যায় রাস্তার পাশে সারি সারি ফুচকার গাড়ি দাড়িয়ে থাকে। ফুচকার কথা শুনেই জিভে জল আসছে তো? আজকে চাইলে আপনি ফুচকা খেতেই পারেন, তবে পুজোর সময়ও খাবারের লিস্টে রাখতেই হবে ফুচকা। 


সরবত: পুজোতে ঘুরতে ঘুরতে গলা শুকিয়ে গেলে গলা ভেজাতে খেয়ে নিতেই পারেন এক গ্লাস সরবত। মুসম্বির সরবত থেকে শুরু করে আনারস, সব রকমের সরবতই পেয়ে যাবেন সরবতের দোকানে। তাই পুজোর খাবারের লিস্টে রাখতেই পারেন পানীয়ও।

Related posts

বাইরে বেরোলে জ্বালাপোড়া গরম, কী করবেন আর কী করবেন না?

আজ ধনতেরাস, জানুন সোনা কেনার শুভ সময়

ধনতেরাসে সোনা কেনার সময় এই ৫টি বিষয়ে সজাগ থাকুন