হ্যাংওভার ছাড়াই করুন চুটিয়ে পার্টি, মেনে চলুন মদ্যপানের কিছু নিয়ম

ওয়েবডেস্ক : নিউ ইয়ার ইভ-বর্ষবরণ মিলিয়ে লম্বা উইকএন্ড পেয়েছে বাঙালি। চলছে টানা পার্টি। আর বিনা কারণবারি, আনন্দ-উদযাপন তো হয়না বললেই চলে।

জাঁকিয়ে শীতের দিনে মদ্যপানের আনন্দ নিতে অনেকেই উদগ্রীব। কিন্তু, অতিরিক্ত মদ্যপানের আগে ভেবে নিতে হবে পরিণতির কথাও। পরিমাণে বেশি মদ্যপানে শুধু বেসামাল হবেন তাই নয়, মাথা ব্যথা, মারাত্মক অ্যাসিডিটি, বমি, ডায়রিয়ার মতো সমস্যাও হতে পারে। অতিরিক্ত মদ্যপানের ফলে আমাদের শরীরে রক্তের বিভিন্ন উপাদানের ভারসাম্য বদলে যায়।

বিশেষ করে অ্যাসিট্যাল্ডিহাইড নামক এক ক্ষতিকর উপাদান জমে শরীরে । ফলে নানা শারীরিক সমস্যার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও তলানিতে এসে ঠেকে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ৬০ মিলিলিটারের বেশি মদ্যপান করা উচিত হবে না। অনেকেই নানা ধরনের অ্যালকোহল একসঙ্গে পান করেন। এঁদের হ্যাংওভারের ঝুঁকি খুব বেশি। আবার অনেকে মনে করেন রেড ওয়াইন খেলে হার্ট ভাল থাকে। তাই বেশি পরিমাণে রেড ওয়াইন পান করেন। সেটাও ভুল।

স্বচ্ছ অ্যালকোহলের থেকে কালারড স্পিরিটের খারাপ গুণ অনেক বেশি। তাই এর থেকেও হ্যাংওভারের আশঙ্কা বেশি। শটস এর থেকে ককটেল তুলনামূলক ভাবে ভাল। কেননা ককটেলে কিছুটা ফ্রুট জ্যুস থাকে বলে টক্সিসিটির পরিমাণ কমে যায়।

মদ্যপান করলে লিভার, কিডনি, ব্রেন-সহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গে তার প্রভাব পড়ে। ইউরিনারি ব্লাডার অতিরিক্ত সক্রিয় হয়ে যায়। ফলে বারবার টয়লেটে যেতে হয়। মোদ্দা কথা শরীর থেকে অনেকটা জল বেরিয়ে গিয়ে ডিহাড্রেশনের ঝুঁকি বাড়ে। হ্যাংওভারের প্রধান কারণ কিন্তু শরীরে জল ও মিনারেলের ঘাটতিই।

যাঁদের মাইগ্রেন আছে তাঁদের সমস্যা অনেকটাই বেশি। একই সঙ্গে হাইপার অ্যাসিডিটি, ডায়রিয়া, বমি বমি ভাব ও বমি হওয়া, ভয়ানক ক্লান্ত বোধ হওয়ার মতো উপসর্গও দেখা দিতে পারে।

তা এই হ্যাংওভার যদি হয়েই যায়, তা থেকে মুক্তিলাভ করবেন কীভাবে?

পর্যাপ্ত জলপান করতে হবে। অ্যালকোহল শরীরে গিয়ে অনেকসময় রক্তে শর্করার মাত্রা কমিয়ে দেয়। এই কারণেই মাথা ব্যথা হয়, দূর্বল লাগে। তাই হ্যাংওভার হলে কিছুটা কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খাওয়া দরকার। 

খালি পেটে মদ্যপান করলে একদিকে অ্যাসিডিটি অন্যদিকে ডিহাইড্রেশন হয়ে শরীর খারাপ লাগে। গ্রিল্ড চিকেন, বাদাম, স্যালাড বা এই ধরনের কোনও খাবার খেয়ে অ্যালকোহল খেলে সমস্যা কম হয়।

চা বা কফি পান করলেও হ্যাংওভার কমে যায়। অ্যাসিডিটির কারণে চা কফি না খেলে মাথার যন্ত্রণা বেড়ে যায়।

এক গবেষণায় জানা গিয়েছে যে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ও জিঙ্ক খেলে হ্যাংওভারের ঝুঁকি কমে। মদ্যপানের ফলে মাথার যন্ত্রণা, বমি, ডায়রিয়া প্রতিরোধে অল্প আদা খেলে ভাল ফল পাওয়া যায়।

Related posts

বাইরে বেরোলে জ্বালাপোড়া গরম, কী করবেন আর কী করবেন না?

আজ ধনতেরাস, জানুন সোনা কেনার শুভ সময়

ধনতেরাসে সোনা কেনার সময় এই ৫টি বিষয়ে সজাগ থাকুন