ওয়েবডেস্ক : অধিকারীদের গড়ে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারী র বিরুদ্ধে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হুঙ্কার। কাঁথির সভা থেকে সরাসরি শুভেন্দুকে নিশানা করে অভিষেক বলেন, ‘আমাকে বারবার তুই-তোকারি করছে। আমি কিন্তু এতদিন পাল্টা তুই বলিনি। তবে বলছি, বেইমানদের আমি তুই বলি। কারণ তাদের জন্য মন থেকে আমার কোনও সম্মান আসে না। তুই অকৃতদার বলে নিজেকে দাবি করিস। তুই আসলে অকৃতজ্ঞ’।
শুধু তাই নয়, সভায় আসা মানুষদের কাছে আর্জি জানালেন, এমন আওয়াজ তুলুন যাতে পাঁচ কিমি দূরে শান্তিকুঞ্জ কেঁপে ওঠে।
শুভেন্দুকে খোলা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে অভিষেক বলেন, এই মাঠে আজ যা লোক হয়েছে তারা ভোট দিলেই তো মীরজাফর কোম্পানির জমানত বাজেয়াপ্ত হবে। সভায় যা লোক হয়েছে রাস্তায় তার দ্বিগুণ।
আজ বৈপ্লবিক জনবিস্ফোরণ হয়েছে এই সভায়। আমাকে বারবার ধমকানোর চেষ্টা করেছে। বলেছিল, মেদিনীপুরে এলে দেখে নেবে। কী দেখবে! আমাকে ধমকে-চমকে লাভ নেই।
আরও পড়ুন : উন্নয়নের লক্ষ্যে জনমুখী বাজেট পেশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
আমি ভোটের আগে আরও একশোবার এখানে আসব। বারবার শুনছি, এটা নাকি অধিকারীদের গড়। কীসের অধিকারী! এটা মানুষের গড়। মানুষের জেলা। ক্ষমতা থাকলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করে দেখাক।
অভিষেক এদিন আরও বলেন, বলছে নাকি আমার বউ দুবছর আগে এয়ারপোর্টে সোনা নিয়ে ধরা পড়েছিল। তা হলে তোর সিআইএসএফ কি নাকে তেল দিয়ে ঘুমোচ্ছিল? আমার বউয়ের কলকাতা ছাড়া কোথাও অ্যাকাউন্টই নেই।
যুব তৃণমূল সভাপতির ভাষণের আগাগোড়া জুড়ে রইলেন শুভেন্দু অধিকারী। আক্রমণ শানালেন, একজন ৩৫টা পদ নিয়ে বসেছিল। একজন তিনটে দফতরের মন্ত্রী, এতগুলি পারিষদ, কেন অন্যদের এতদিন সুযোগ দেয়নি!
এখন মনে হচ্ছে, গ্রাম বনাম শহরের লড়াই। মানুষকে বোকা বানানো এত সহজ নয়। অভজার্ভার মডেল তুলে দেওয়া হয়েছে। জেলার নেতা জেলা চালাবে। তাই ওদের গায়ে জ্বালা ধরছে।