বজ্রাঘাতে মৃতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে করলেন অভিষেক

ডেস্ক:  ‘দিদি’র পথই পাথেয় অভিষেকের, এক কথায় বলা যায় জননেতা হয়ে উঠেছেন।সোমবার বজ্রাঘাতে রাজ্য জুড়ে ৩২ জনের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে শুধু মুর্শিদাবাদেই মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। আজ মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিবারের সদস্যদের কথা বললেন তিনি। পাশাপাশি তিনি মৃতদের পরিবারকে রাজ্যের তরফে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। অভিষেককে কাছে পেয়ে নিজেদের আবেদন তুলে ধরল অসহায় পরিবারগুলি।


বহরমপুরে গিয়ে তিনি মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে সর্বদা পাশে থাকার বার্তা দেন। অভিজিৎ বিশ্বাসের নাবালক ছেলেকে জড়িয়ে ধরেন অভিষেক। তিনি মানুষের পাশে থাকার বার্তা দিচ্ছেন। চেষ্টা করছেন জননেতা হয়ে ওঠার।


প্রহ্লাদ মুরারির বাড়িতেও যান অভিষেক। এভাবেই একে একে এদিনে মুর্শিদাবাদে বজ্রাঘাতে যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের পরিজনদের সঙ্গে দেখা করেন। রঘুনাথগঞ্জে একই জায়গায় সমস্ত পরিজনদের জড়ো করা হয়েছে। সেখানেই তাঁদের সঙ্গে দেখা করেন।


বহরমপুর ও রঘুনাথগঞ্জে যাঁরা মারা গিয়েছেন বজ্রপাতে, তাঁদের অধিকাংশই পরিবারের একমাত্র রোজগেরে। সেইমতো সরকারি ক্ষতিপূরণ তাঁরা পাবেন। কেন্দ্র ও রাজ্য উভয় তরফের সাহায্যই মিলবে। কিন্তু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দিদির দূত হয়ে এইসব পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দিলেন।
অভিষেক স্বজনহারাদের পাশে দাঁড়িয়ে বলেন, চাকরির আবেদন জানিয়েছে মৃতদের পরিবার। আমরা সেই আবেদন শুনেছি। আমাদের দল, আমাদের সরকার কাজে বিশ্বাসী। মুখের কথায় নয়। বহিরাগতরা আসে, আবার চলে যায় কলাপাতায় পাত পেড়ে খেয়ে। মানুষের পাশে থাকে তৃণমূল কংগ্রেস।

আরও পড়ুন: নিউটাউনের সাপুরজি আবাসনে চলল গুলি, পুলিশের গুলিতে মৃত কুখ্যাত গ্যাংস্টার জয়পাল সিং ভুল্লার-সহ দুই দুষ্কৃতী


তৃণমূলকে আক্রমণের পরিবর্তে দল বাঁচাতে বিজেপিকে অন্তর্দ্বন্দ্ব মেটানোর পরামর্শ দিলেন তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার মুর্শিদাবাদে বজ্রাঘাতে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের পর এই মন্তব্য করেন তিনি।


এদিন অভিষেককে বলতে শোনা যায়, ‘যে রাজনৈতিক দল ১০টা নেতাকে এক ছাতার তলায় রাখতে পারে না তাদের হাতে কি দেশের ১৩০ কোটি মানুষের ভবিষ্যৎ তুলে দেওয়া উচিত?’ বিজেপি নেতাদের অভিষেকের পরামর্শ, ‘আমি বলবো, আপনারা আগে নিজেদের অন্তর্দ্বন্দ্ব মেটান। কাকে কী বলছেন তার জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছেন।’ অভিষেক বলেন, ‘বিজেপিকে সুখে পাবেন না, দুঃখের সময় পাবেন।’ বজ্রপাতে মৃতদের পরিবারের পাশে যে রাজ্য সরকার ও তৃণমূল সারা বছর থাকবে, এ কথা উল্লেখ করেছেন তিনি।  

Related posts

প্রমাণ ছাড়াই ‘চুরি’র অভিযোগ, এ বার মানহানির মামলা করবেন মুখ্যমন্ত্রী

সুপ্রিম কোর্টে জামিন পেলেন তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা

শুরু পঞ্চম দফার প্রচার, আজ জোড়া সভা মমতার