বর্ধমান : কর্মসূচির নাম দুয়ারে সরকার। সরকারি আধিকারিকদের তৎপরতাও বুঝিয়ে দিলো এই কর্মসূচির বস্তাবায়নে কতটা সক্রিয় তারা। আবেদন জানানোর সঙ্গে সঙ্গে রপশ্রী প্রকল্পের টাকা বিয়ের দিনই পৌঁছে গেল আবেদনকারীর হাতে।
বর্ধমান পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাদশাহি মাঠপাড়র বাসিন্দা প্রিয়া খাতুনের বিয়ে ছিল মঙ্গলবার। তাঁর বাবা শেখ সিরাজ ধারদেনা করে মেয়ের বিয়ের টাকা জোগাড় করেন।
টাকা নিয়ে চিন্তিত ছিলেন প্রিয়াও। বন্ধুদের কাছে জানতে পারেন দুয়ারে সরকার কর্মসূচির মাধ্যমে রূপশ্রী প্রকল্পে আবেদন করা যেতে পারে। সকালের পুরসভা খুললে সেখানে সমস্ত কাগজপত্র নিয়ে হাজির হন প্রিয়া নিজে।
বিষয়টি বুঝতে পেরে বর্ধমান পুরসভার রূপশ্রী প্রকল্পের নোডাল অফিসার কৌশিক মাঝিল্য, আতাহারুল ইসলাম ও অ্যাকাউটেন্ট বিকাশ সোনকার পৌঁছে যান তরুণীর বাড়িতে। সব কিছু খতিয়ে দেখে ওই দিনই যাবতীয় কাগজপত্র অনুমোদন করে পাঠিয়ে দেন সংশ্লিষ্ট দফতরে।
আবেদন জানানোর দিনই টাকা পাওয়ার ছাড়পত্রে খুশি প্রিয়া। তিনি জানান, ‘‘আমাদের মতো সংসারে এই টাকার অনেক মূল্য। এ জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি বর্ধমান পুরসভার সকলকে ধন্যবাদ দেব। আজ আবেদন জানিয়ে আজই পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হল কেবল ওঁদের জন্য।’’