ডেস্ক: শুধু শীতকাল নয় এখন সারা বছর পাওয়া যায় বিট। তবে শীতকালে দামে সস্তা। বছরভর খেতে না পারলেও শীতে বিটের জুস খেতে পারেন নিয়মিত। তাতে আটকে দেওয়া যালবে দশটি অসুখ।
বিটে কী কী রয়েছে?
বিটে রয়েছে পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, জিংক, ক্লোরিন, আয়রন ও সোডিয়াম ইত্যাদি উপাদান।
১। এর ফলে ডায়বেটিসে উপকার করে বিট।
২। অ্যানিমিয়া, হাই ব্লাড প্রেশার ইত্যাদিও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে বিট।
৩। থাইরয়েডের সমস্যা একটি বড়ো সমস্যা। তাতেও খুবই উপকারীএই বিট। বিটের মধ্যে রয়েছে নাইট্রেট নামক একটি উপাদান। এটি শরীরের রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে। স্ট্রোক হওয়ার আশঙ্কা দূর করে।
৫। লিভার ভালো রাখতে হলে বিট খাওয়া খুবই জরুরি। বিট হজম শক্তিকে বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে বাইরের খাবার, মশলাদার খাবার খেয়েও বদহজম হওয়ার আশঙ্কা থাকে না।
৬। পেটের বিভিন্ন রোগ যেমন জন্ডিস, ডায়েরিয়া ও কলেরা প্রভৃতি নিরাময়ে খুবই উপকারী।
৭। ফ্যাটি লিভারের সমস্যাও নিয়ন্ত্রণ করে বিট।
৮। বিটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
৯। ক্যানসারের মতো রোগকেও প্রতিরোধ করার ক্ষমতা আছে বিটে। বিট শরীর থেকে ক্ষতিকারক টক্সিন বের করে দেয়।
১০। বিট হাড় শক্ত করতেও সাহায্য করে। শরীরে ক্যালসিয়ামের মাত্রা কমে হাড়ের ক্ষয় হয়। ক্যালসিয়াম ধরে রাখতে সাহায্য করে বিট। অল্প বয়স থেকে বিট খেলে বয়সকালে হাড়ের সমস্যা দেখা দেবে না।
এছাড়া সকাল সকালে শরীরচর্চা করে করে শরীরে ক্লান্তি আসে। তখন শরীরকে চাঙ্গা করতে জন্য বিটের রস খুবই উপকারী। বিটের জুস প্রতি দিন সকালে খেলে শক্তি বাড়ে। পেশির শক্তি বাড়ে।
বিটে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে। অ্যানিমিয়া, রক্তসল্পতায় বিট খুবই উপকারী। শরীরে রক্তের ঘাটতি পূরণ করতে সহায়তা করে।