ওয়েবডেস্ক : বাবু মাস্টারের উপরের হামলার ৮ দিনের মাথায় ফের উত্তপ্ত উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁ। শনিবার রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে ‘পরিবর্তন যাত্রা’ ঘিরে অশান্ত হয়ে উঠল স্থানীয় মালঞ্চ এলাকা।
তৃণমূল-বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ বাধে। তৃণমূলের অভিযোগ, পার্টি অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে। বিজেপি-র পাল্টা অভিযোগ, বোমাবাজি করেছে তৃণমূল।
শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ দিলীপের নেতৃত্বে ‘পরিবর্তন যাত্রা’র ট্যাবলো কলকাতা থেকে পৌঁছয় মালঞ্চ এলাকায়। বাসন্তী হাইওয়ের উপর কুশাঙড়া মোড়ে ‘পরিবর্তন যাত্রা’র সঙ্গে থাকা বাইক আরোহী বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের বচসা শুরু হয়।
পরে তা সংঘর্ষের চেহারা নেয়। তৃণমূলের দলীয় দফতরে বিজেপি কর্মীরা ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। বিজেপি-র পাল্টা অভিযোগ, তাদের লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে তৃণমূল।
ঘটনার সময় ট্যাবলোতেই ছিলেন দিলীপ। দিলীপ ঘোষের কনভয় লক্ষ্য করে বোমাবাজি হয় বলেও অভিযোগ। হামলায় তাঁর কনভয়ের দুটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে দিলীপ ঘোষ নিরাপদেই রয়েছেন।
দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় বিশাল পুলিশবাহিনী, র্যাফ, কমব্যাট ফোর্স পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দফায় দফায় সংঘর্ষের জেরে জখম হয়েছেন দু’পক্ষের বেশ কয়েকজন।
আরও পড়ুন : রাজ্যবাসীর জন্য সুখবর, হাবড়া থেকে চালু ৪ দূরপাল্লার রুটের বাস
সংঘর্ষের জেরে এলাকায় চাপা উত্তেজনা রয়েছে। গোটা এলাকা থমথমে। এই ঘটনাকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর।
এর আগে গত ১২ তারিখ বামেদের বাংলা বন্ধের দিন মুর্শিদাবাদের কান্দিতে বিজেপির রথযাত্রা নিয়েও উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। ওইদিন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি এবং নিরাপত্তার কথা ভেবে ওই এলাকায় দুপুরে রথ আটকে দিয়েছিল পুলিশ।
বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে বচসাও হয় তাঁদের। যদিও পুলিশের দাবি ছিল, রথ আটকে দেওয়া হয়নি। বন্ধের কারণে নিরাপত্তার কথা ভেবে তা থামাতে বলা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে ফের রথ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হতো।
ওইদিন কিছুক্ষণ পরই অবশ্য রথযাত্রা এগিয়ে যায় জিয়াগঞ্জের দিকে। কিন্তু বসিরহাটের মালঞ্চ এলাকায় শনিবার রথযাত্রা ঘিরে যে পরিস্থিতি তৈরি হল, তা ভোটের আগে বেশ উদ্বেগের বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।