কেন্দ্রীয় সংস্থা দিয়ে বারবার ভয় দেখানো হচ্ছে। বিরোধীদের কণ্ঠ রোধ করতে মোদী সরকারের এজেন্সি প্রয়োগের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠলেন মমতা। পুরুলিয়ার কর্মিসভায় বলেন, “কখনও লালু প্রসাদের বাড়িতে কেন্দ্রীয় এজেন্সি পাঠানো হচ্ছে, কখনও হেমন্ত সোরেনের বাড়িতে যাচ্ছে সিবিআই। কিন্তু বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে কেউ কোনও কথা বলছে না। বিজেপি নেতাদের গ্রেপ্তার করা উচিত। সবকটাকে জেলে পুরুক সিবিআই (CBI)।”
তিনি এও বলেন যে, এখানে আমাদের দলের লোকেরা ভুল করেছে। তাই আমাদের হার হয়েছে। জেতার পর থেকেই বিজেপি সাংসদ বেপাত্তা। বিজেপি সরকারকে একহাত নিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন চলে গেলেই এরা উধাও হয়ে যায়। গ্যাসের দামবৃদ্ধি নিয়ে ও পেট্রল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপি সরকার ভেজাল সরকার।
তিনি অভিযোগ করেছেন নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত যে মোদী সরকারের সবচেয়ে ভুল সিদ্ধান্ত ছিল সেটা রিজার্ভ ব্যাঙ্ক স্বীকার করে নিয়েছেন। নতুন ৫০০ টাকার অধিকাংশ নোট জাল। কাজেই মোদী সরকারের সব মন্ত্রীর ঘরে ইডি-সিবিআই তল্লাশি চালানো উচিত বলে দাবি করেছেন তিনি। কয়লা পাচার, গরু পাচার মামলায় বিরোধী দলের নেতাদেরই টার্গেট করা হচ্ছে বলে তোপ দাগেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এরপরই হুঙ্কার তিনি দেন, “কেন্দ্রীয় সংস্থা দিয়ে বারবার ভয় দেখানো হচ্ছে। ওরা ঠিক করেছে ঘরে ঘরে সিবিআই পাঠাবে। আমি কিন্তু কাউকে ভয় পাই না।”
এদিন কর্মীদের উদ্দেশ্য করে মমতা বলেন, ”পুরুলিয়ায় আমাদের লোকেরা ভুল করেছিল। সেই কারণেই পুরুলিয়ায় পরাজয় আমাদের। কিন্তু জেতার পর থেকেই আর এলাকায় বিজেপির দেখা নেই। এখানকার বিজেপি নেতা ও সাংসদরা বেপাত্তা। আমাদের সরকার সবসময় মানুষের পাশে আছে। আমাদের বিরুদ্ধে কুৎসা করছে বিজেপি-সিপিএম-কংগ্রেস। আমাদের টাকা তুলে নিয়ে যাচ্ছে বিজেপি সরকার। ১০০ দিনের কাজের টাকা দিচ্ছে না।” বলেন, “মোদী সরকার ভেজাল সরকার। ভোট এলে উজালা, ভোট কাটলে ঘোটালা। আমাদের টাকা তুলে নিয়ে যাচ্ছে বিজেপি সরকার। ১০০ দিনের টাকা দাও, নয়তো বিদায় নাও।”
এদিনের ভাষণে রাজ্য সরকারের সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পগুলির খতিয়ান তুলে ধরেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকার শুধু পুরুলিয়া নয়, গোটা রাজ্যের উন্নয়ন করছে। শিক্ষাশ্রী, কন্যাশ্রী, সবুজসাথী, কৃষকবন্ধু আমরাই দিয়েছি। কেন্দ্র বাংলা থেকে টাকা নিয়ে গেলেও সময় মতো টাকা দিচ্ছে না। এর ফলে অনেক উন্নয়নমূলক কাজ আটকে রয়েছে।