ডেস্ক: এবারের সভা শুধুমাত্র এই ‘শহিদ’দের শ্রদ্ধা জানানোর উদ্দেশে নয়, বরং আজকের এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জাতীয় রাজনীতিতে পা রাখতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লিতে তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের অনুষ্ঠানে বিরোধী ঐক্যে শান। অনুষ্ঠানে হাজির শরদ পাওয়ার, পি চিদম্বরম, শরদ যাদব, সুপ্রিয়া সুলে, জয়া বচ্চন প্রমুখ জাতীয় স্তরের নেতা। একুশের বিধানসভা ভোটে নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠা লাভে পর তৃণমূলের লক্ষ্য ২০২৪-এর লোকসভা ভোট।
ভার্চুয়ালি শহীদ দিবস পালন করছে তৃণমূল। এদিন ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সভায় তিনি বলেন, ‘জাতীয় স্তরের নেত্রিত্বকে কৃতজ্ঞতা জানাই। শরদ পাওয়ার, চিদম্বরম, দিগ্বিজয় সিংহকে কৃতজ্ঞতা জানাই। আমাদের বন্ধু জয়া বচ্চন আসায় ধন্যবাদ। মা-মাটি-মানুষকে ধন্যবাদ জানাই।
নির্বাচনে মানি ও মাসল পাওয়ার ব্যবহার। বিজেপি নেতারা ডেলি প্যাসেঞ্জারি করেছেন। প্রতিকূলতার পরেও আমরা জিতেছি। কাউকে ফোন করতে পারি না, ফোন ট্যাপ হয়। পেগাসাসের নামে আমার আপনার ফোন ট্যাপ। আমার ফোন ফোন ট্যাপ হচ্ছে, রেকর্ড করা হচ্ছে। ফোনের ক্যামেরায় প্লাস্টার লাগাতে হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ধ্বংস করছে বিজেপি। গণতন্ত্রিক অধিকার শেষ করে দিচ্ছে বিজেপি। বিচার ব্যবস্থাকে শেষ করে দেওয়া হচ্ছে।’
এদিন তিনি এও বলেন, সুপ্রিমকোর্টকে পেগাসাস নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলার আবেদন। গণতন্ত্রকে যদি কেউ বাঁচাতে পারে তাহলে বিচার ব্যবস্থা তা করতে পারে। আমাদের মতো রাজনৈতিক দল তা করতে পারে। মমতা বলেন, দেশে বেকারত্ব বেড়ে গিয়েছে। এই যে কৃষকরা এত মাস ধরে বসে আছেন, কেউ কথা শোনে না। উত্তরপ্রদেশে উন্নাওয়ে কী হয়। আরও বিল আনছে যাতে গণতন্ত্র মারা যায়। ত্রিপুরায় আমাদের অনুষ্ঠান করতে দেওয়া হয়নি। বিজেপি বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করছে। এটা কি গণতন্ত্র?