ডেস্ক: বিধানসভা অধিবেশন থেকে বিজেপিকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় মন্তব্য করেন, “কমিশন না সাহায্য করলে ৩০টা আসনও পেত না বিজেপি।” বিজেপিকে এদিন, ‘ল্যাজ কাটা হনু’ বলেও কটাক্ষ করেন তিনি। বলেন, কথার কোনও সৌজন্য নেই।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কী অত্যাচার করেছেন, আমার মুখ খুলিয়ে লাভ নেই। মেদিনীপুরে ঘরে ঘরে যাবেন, মানুষ বলে দেবেন।” এরপরই তাঁর আক্ষেপ, “আগেও বিজেপির সঙ্গে কাজ করেছি। এরকম ছিল না। এখনকার বিজেপি একটা ল্যাজ ছাড়া হনু।”
ভাষণের শুরুতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বহু জায়গায় ভোটারের থেকে ভোট বেশি পড়েছে। ভোটে কারচুপি হয়েছে। এ প্রসঙ্গেই সরাসরি নির্বাচন কমিশনকে কাঠগড়ায় তোলেন। মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, নির্বাচন কমিশনের সহযোগিতা না পেলে এ রাজ্যে বিজেপি ৩০টি আসনও পেত না। বিজেপি কিংবা প্রধানমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ভোট নিয়ে একাধিকবার আক্রমণ করেছেন মমতা। নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়েও উষ্মা প্রকাশ করেছেন। তবে সেটা রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে। এ ভাবে বিধানসভায় দাঁড়িয়ে এই আক্রমণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এটা রেকর্ড হয়ে থাকল।
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “নির্বাচন পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে এত অভিযোগ! আমি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর আর হয়েছে? আমি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে কমিশনের হাতে সব ক্ষমতা ছিল। সেই সময় হয়েছে। আসলে, যোগ্য সরকারি আধিকারিক, জেলাশাসকদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমি যখন সরকারে থাকব, তখন সবাই আমার কাছে এক।”
যারা রাজ্যপালকে ভাষণ পড়তেই দিল না, তারা বোঝাতে চাইছে, ‘আমি কত বড়’। কোনও সংস্কৃতি নেই ওদের।” এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কটাক্ষ, “আপনি রাজ্যপালকে অ্যালাও করেছিলেন? আপনাদের নমিনেটেড তো। আজ কেন বলছেন?”বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বিজেপিকে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “তোমাদের কোনও ক্ষমতা নেই আমার দুর্বার গতিকে রুখবার।”
নাম না করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধেও তোপ দাগেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর কটাক্ষ,”ঘুরে বেড়াচ্ছে। কথায় ভদ্রতা নেই, সৌজন্য নেই, সংস্কৃতি নেই। মানুষের কথা না বলে, আমি কত বড় বলতে এসেছেন।”