কলকাতা: সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল বিজেপি। মঙ্গলবার দুপুর ২টো ৪০ মিনিটে সেই অভিযানে সমাপ্তি ঘোষণা করেন দিলীপ ঘোষ। এরই মধ্যে কর্মসূচিতে পুলিশি বাধার অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিজেপি।
এ দিন অভিযানের আগেই ধাক্কা খায় গেরুয়া শিবির। দ্বিতীয় হুগলি সেতুর কাছে আটক করা হয় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। তাঁকে প্রিজন ভ্যানে করে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়। হাওড়ায় আটক করা হয় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকেও। পরে হাইকোর্টের বিচারপতির নির্দেশে ব্যক্তিগত বন্ডে ছাড়া তাঁরা।
নবান্ন অভিযানে পুলিশি বাধার অভিযোগ নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি। এই ঘটনায় স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে হাইকোর্ট। এই ঘটনায় ১৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে স্বরাষ্ট্রসচিব পিভি গোপালিকাকে রিপোর্ট ফাইলের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। পাশাপাশি শান্তিরক্ষা করতে নির্দেশও দেওয়া হয়েছে হাইকোর্টের তরফে। তবে সম্পত্তি নষ্টের ক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করতে পারবে পুলিশ।
প্রশ্ন উঠেছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ থাকলেও শুভেন্দুকে কেন গ্রেফতার করা হল? এ দিনের শুনানিতে রাজ্যের আইনজীবী জানান, শুভেন্দুকে রক্ষাকবচ দেওয়া হয়েছে অন্যান্য মামলায়। তাই এ ক্ষেত্রে গ্রেফতার করায় অসুবিধা নেই বলে মন্তব্য রাজ্যের। সোমবার মামলার পরবর্তী শুনানি।
অন্য দিকে, সকাল থেকে সাধারণ মানুষ নাকাল হয়েছেন দাবি করে মামলা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। বিজেপির কর্মসূচির কারণে গাড়ি ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। বাস স্বাভাবিকভাবে চলতে পারেনি। ট্রেন-ট্রাম স্বাভাবিক নিয়মে মেলেনি। অফিস যাত্রীরা নাকাল হন। এই কারণেই বিজেপির নবান্ন অভিযানের বিরুদ্ধে মামলা জমা পড়ে আদালতে। মামলাকারী আদালতে জানান, জাতীয় সড়ক আটকে এবং জনজীবন বিপন্ন করে সভা-সমিতিতে সুপ্রিম কোর্টের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তার পরেও কী ভাবে সভা? অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করুক আদালত।
আরও পড়ুন: নবান্ন অভিযানে লোক হয়নি, বিজেপির বেলুন ফুটো হয়ে গেছে: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়